ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ বর্ধমানের শ্যামলাল এলাকার একটি মেস থেকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এম ফিলের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত ছাত্রীর নাম অনিতা বাওয়ালি(২৭)। বাড়ি খণ্ডঘোষের লোধনা গ্রামে। শনিবার সকালে শ্যামলাল ২নং ভবানীঠাকুর লেনের একটি মেসের ঘর থেকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়নার ফাঁসে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,২০১৫ সাল থেকে শ্যামলালের এই মেসে রয়েছেন অনিতা। তার সঙ্গে আরও দুই বান্ধবী থাকত। এর মধ্যে একজন বান্ধবী বাড়ি চলে গিয়েছিল, অন্যজন এদিন সকালে টিউশন পড়াতে বেড়িয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে্ন, ওই মেসের মালিক শিবশংকর দে ও শুভ্রা দের ছেলেকে টিউশন পড়াতো অনিতা। শনিবার সকালে টিউশন পড়াতে না আসায় এবং দেরী হওয়ায় শুভ্রা দে খোঁজখবর নিতে যান আনিতার ঘরে। তার ঘরের সামনে গিয়ে ডাকাডাকি করেন। দরজায় ধাক্কা দিলে দরজা খুলে যায়। এরপরই ফ্যানের সঙ্গে ওড়নার ফাঁসে তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এরপর প্রতিবেশীদের ডেকে তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃতের ঘর থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেখানে লেখা রয়েছে - ''সরি মাম, আমি তোমাকে আর খুশী রাখতে পারলাম না। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।'' মৃত ছাত্রীর বাবা পরাণ বাওয়ালি জানিয়েছেন, কেন অনিতা এরকম লিখে গেল তাও তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি জানিয়েছেন,অনিতা পড়াশোনাই খুবই মেধাবী ছিল। কিন্তু তার এই অপমৃত্যু রীতিমত রহস্যজনক। এব্যাপারে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তিনি পুলিশকে এই ঘটনায় তদন্তের জন্য দাবী জানাবেন।
মৃতের ঘর থেকে পুলিশ একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে। সেখানে লেখা রয়েছে - ''সরি মাম, আমি তোমাকে আর খুশী রাখতে পারলাম না। আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়।'' মৃত ছাত্রীর বাবা পরাণ বাওয়ালি জানিয়েছেন, কেন অনিতা এরকম লিখে গেল তাও তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি জানিয়েছেন,অনিতা পড়াশোনাই খুবই মেধাবী ছিল। কিন্তু তার এই অপমৃত্যু রীতিমত রহস্যজনক। এব্যাপারে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তিনি পুলিশকে এই ঘটনায় তদন্তের জন্য দাবী জানাবেন।