ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, পূর্ব বর্ধমানঃ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীকে ভুল বুঝিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেওয়ার অভিযোগে দালাল সন্দেহে আটক করা হল শহরের এক নার্সিংহোম মালিক সহ দুজনকে। এই ঘটনায় শুক্রবার সকালে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল হাসপাতাল চত্বরে।
জানা গেছে, গতকাল আসাম থেকে লাল মিয়াঁ সেখ নামে এক ব্যাক্তি চিকিৎসার জন্য বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসেন। প্রথমে ইমারজেন্সিতে দেখানোর পর চিকিৎসক ওই ব্যাক্তিকে হাসপাতালের ই এন টি বিভাগে দেখানোর পরামর্শ দেন। অভিযোগ সেই সময় আনিসুর মণ্ডল এবং সুরজিত কর্মকার নামে দুই ব্যাক্তি ওই রোগীকে পরামর্শ দেয় যে, হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা পাওয়া যায় না, বরং তারা তাকে ভাল জায়গায় চিকিৎসার ব্যাবস্থা করে দিতে পারে। ঘটনাচক্রে সেই সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় ওই দুই ব্যাক্তিকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের হাসপাতাল চত্বর থেকে বের করে দেন কর্মীরা। কিন্তু লাল মিয়াঁ সেখ সকালে হাসপাতালের আউটডোর খুললে সেখানে ই এন টি বিভাগে ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষা করার সময় ফের আনিসুর মণ্ডল এবং সুরজিত কর্মকার নামে দুই ব্যাক্তি সেখানে পৌঁছে তাকে শহরের একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। বিষয়টি নজরে আসতেই হাসপাতালের কর্মীরা ওই দুই ব্যাক্তিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে অভিযুক্ত দুই ব্যাক্তিকে বর্ধমান থানার পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করে।
যদিও অভিযুক্ত আনিসুর মণ্ডল তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি নিজে শহরের একটি নার্সিং হোমের মালিক, লাল মিয়াঁ সেখ তার নার্সিং হোমেরই পেসেণ্ট। এর আগেও সেখানে তিনি চিকিৎসা করিয়েছেন। এমনকি এবারেও রোগীর আত্মীয়রা নার্সিংহোমেই অপেক্ষা করছিলেন। লাল মিয়াঁ সেখ ভুল করে হাসপাতালে চলে আসায় রীতিমত এম্বুলেন্স নিয়ে তাকে নিয়ে যেতে এসেছিলেন। মিথ্যা কারণে তাকে অপদস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় হাসপাতাল সুপার ডাঃ উৎপল দাঁ হাসপাতালের কর্তব্যরত কর্মীদের প্রসংশা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে দালাল চক্র বলে কিছু নেই। তবু কঠোর নজরদারি জারি রাখা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের সঙ্গে দুরব্যাবহারকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
যদিও অভিযুক্ত আনিসুর মণ্ডল তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তিনি নিজে শহরের একটি নার্সিং হোমের মালিক, লাল মিয়াঁ সেখ তার নার্সিং হোমেরই পেসেণ্ট। এর আগেও সেখানে তিনি চিকিৎসা করিয়েছেন। এমনকি এবারেও রোগীর আত্মীয়রা নার্সিংহোমেই অপেক্ষা করছিলেন। লাল মিয়াঁ সেখ ভুল করে হাসপাতালে চলে আসায় রীতিমত এম্বুলেন্স নিয়ে তাকে নিয়ে যেতে এসেছিলেন। মিথ্যা কারণে তাকে অপদস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে এই ঘটনায় হাসপাতাল সুপার ডাঃ উৎপল দাঁ হাসপাতালের কর্তব্যরত কর্মীদের প্রসংশা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে হাসপাতালে দালাল চক্র বলে কিছু নেই। তবু কঠোর নজরদারি জারি রাখা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের সঙ্গে দুরব্যাবহারকারিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।