
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমানঃঘন ঘন চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ এবং তাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসকদের হেনস্তা,মারধরের ঘটনায় গত এক সপ্তাহে ফের খবরের শিরনামে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। চলতি সপ্তাহেই বেশ কয়েকবার চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। শনিবারও বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসা এক রোগীকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তির দাবী জানানোকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হল। অশান্তি সৃষ্টি এবং চিকিৎসকদের নিগৃহিত ও হেনস্থার অভিযোগে পুলিশ রোগীর বাবা সহ মোট ২জনকে আটক করেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে মেমারী থানার করন্দা এলাকার বাসিন্দা পূজা গোস্বামী (১৯) বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রাধারাণী ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। কিন্তু রোগীপক্ষের লোকজন চিকিৎসকদের কাছে রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করার দাবী জানাতে থাকেন। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এই সময় কর্তব্যরত দুই জুনিয়ার ডাক্তারকে নিগৃহীত করে রোগীর পরিবারের লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে। পুলিশ এসে রোগীর বাবা গোপাল গোস্বামী সহ আরও এক আত্মীয়কে আটক করে।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বর্ধমান হাসপাতালের জরুরী বিভাগে মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁ এলাকার বাসিন্দা এক পথ দুর্ঘটনায় জখম রোগীর সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে রোগীপক্ষের লোকজন হাসপাতালের প্রবীণ এক চিকিৎসক সহ দুই জুনিয়র ডাক্তারকে মারধোর করেন বলে অভিযোগ। শুক্রবারও বীরভূমের এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রের চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর শনিবার মেমারীর করন্দার ঘটনাতেও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ করেছেন রোগীপক্ষের লোকজন।
যদিও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা এদিন জানিয়েছেন, চিকিৎসার গাফিলতির কোনো অভিযোগ করা হয়নি রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে। তাঁরা বারবার সিসিইউতে রোগীকে স্থানান্তর করার দাবীতে অশান্তি সৃষ্টি করেন এবং ডাক্তারদের নিগৃহিত করেন। ডেপুটি সুপার জানিয়েছেন, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে মাত্র ১২টি বেডে রয়েছে। সেখানে রোগী ভর্তিও রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বেড খালি না হলে তাঁরা অন্য রোগীকে সেখানে ভর্তি করাতে পারেন না। এব্যাপারে রোগীপক্ষের লোকজনকে তা জানানোও হয়। কিন্তু তাঁরা তা শোনেননি। তিনি এও স্বীকার করেছেন, রাধারানি ব্লকের এক একটি ওয়ার্ডে ৪০ জন রোগী ভর্তির সুযোগ থাকলেও সেখানে গড়ে প্রায় ১২০ জন রোগী ভর্তি থাকেন।ডেপুটি সুপার জানান, কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অভিযোগেই পুলিশ আটক করেছে রোগীপক্ষের লোকজনকে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার পরই ওই রোগী পূজা গোস্বামীকে বর্ধমান হাসপাতাল থেকে বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে চলে যান রোগীপক্ষের লোকজন। তবে কি কারণে পূজা বিষ খায় সে ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু জানাতে চাননি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই বর্ধমান হাসপাতালের জরুরী বিভাগে মুর্শিদাবাদের বড়ঞাঁ এলাকার বাসিন্দা এক পথ দুর্ঘটনায় জখম রোগীর সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলে রোগীপক্ষের লোকজন হাসপাতালের প্রবীণ এক চিকিৎসক সহ দুই জুনিয়র ডাক্তারকে মারধোর করেন বলে অভিযোগ। শুক্রবারও বীরভূমের এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রের চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। এরপর শনিবার মেমারীর করন্দার ঘটনাতেও চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ করেছেন রোগীপক্ষের লোকজন।
যদিও হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা এদিন জানিয়েছেন, চিকিৎসার গাফিলতির কোনো অভিযোগ করা হয়নি রোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে। তাঁরা বারবার সিসিইউতে রোগীকে স্থানান্তর করার দাবীতে অশান্তি সৃষ্টি করেন এবং ডাক্তারদের নিগৃহিত করেন। ডেপুটি সুপার জানিয়েছেন, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিসিইউতে মাত্র ১২টি বেডে রয়েছে। সেখানে রোগী ভর্তিও রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই বেড খালি না হলে তাঁরা অন্য রোগীকে সেখানে ভর্তি করাতে পারেন না। এব্যাপারে রোগীপক্ষের লোকজনকে তা জানানোও হয়। কিন্তু তাঁরা তা শোনেননি। তিনি এও স্বীকার করেছেন, রাধারানি ব্লকের এক একটি ওয়ার্ডে ৪০ জন রোগী ভর্তির সুযোগ থাকলেও সেখানে গড়ে প্রায় ১২০ জন রোগী ভর্তি থাকেন।ডেপুটি সুপার জানান, কর্তব্যরত চিকিৎসকদের অভিযোগেই পুলিশ আটক করেছে রোগীপক্ষের লোকজনকে।
অন্যদিকে, এই ঘটনার পরই ওই রোগী পূজা গোস্বামীকে বর্ধমান হাসপাতাল থেকে বেসরকারী হাসপাতালে নিয়ে চলে যান রোগীপক্ষের লোকজন। তবে কি কারণে পূজা বিষ খায় সে ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু জানাতে চাননি।
