Headlines
Loading...
পূর্ব বর্ধমানে জল বাড়তে শুরু করেছে দামোদরের, মাথায় হাত বালিঘাট মালিকদের

পূর্ব বর্ধমানে জল বাড়তে শুরু করেছে দামোদরের, মাথায় হাত বালিঘাট মালিকদের



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: টানা লকডাউনের পর পূর্ব বর্ধমান জেলার বালিঘাট গুলো খুললেও বর্ষার কারণে নদ-নদীর জল বাড়তে শুরু করায় ফের চিন্তার ভাঁজ পড়েছে বালি কারবারিদের কপালে। অন্যান্য বছর মোটামুটি ১৫ জুনের পর থেকেই সরকারিভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয় নদী থেকে বালি তোলার কাজ। যদিও এবছর লকডাউনের জন্য বালি ব্যবসায়ীরা বড়সড় ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ায় এবং সরকারি রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি দেখা দেওয়ায় বর্ষাকালীন নদী থেকে বালি তোলার নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা দিয়েছে প্রশাসন। 


পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এবছর এই শিথিলতা বাড়ানো হতে পারে আগামী ১০জুলাই পর্যন্ত। যদিও খোদ বালিঘাট মালিকদের একাংশ জানিয়েছেন, যে পরিমান বৃষ্টি শুরু হয়েছে তাতে জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকেই আর ঘাট চালানো সম্ভব হবে না। ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টির পরিমান বাড়লে স্বাভাবিকভাবে ডিভিসি কে জল ছাড়তে হবে। সেক্ষেত্রে নদীর জলস্তর তিন থেকে চার ফুট বেড়ে যাবে। আর তখন কোনোভাবেই নদী থেকে বালি উত্তোলন করা যাবে না। 


অন্যদিকে, বালিঘাট মালিকরা জানিয়েছেন, বালি তোলার জন্য বছরের আসল সময়েই করোনা পরিস্থিতির জন্য লকডাউন শুরু হওয়ায় তাঁরা ভয়ংকর ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এরপর শেষমেষ বালি তোলার অনুমতি পেলেও নির্দিষ্ট সময়ে বর্ষা ঢুকে পড়ায় ফের ঘোর সমস্যায় পড়লেন তাঁরা। যদিও তাঁরা জানিয়েছেন, বর্ষার সময় বেশিরভাগ নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকে, তাই এই সময় বালির চাহিদাও কম থাকে। এই সময় মজুদ বালি সরবরাহ করেই ব্যবসা সচল রাখতে হয়।


এদিকে পূর্ব বর্ধমান জেলার জামালপুর, মেমারী, বড়শুল থেকে রায়না, খণ্ডঘোষ, গলসি এলাকার দামোদর নদের ওপর বেশিরভাগ বালির গাড়ি যাতায়াতের জন্য কাঠের অস্থায়ী সেতু প্রায় জলের তলায় যেতে বসেছে। ফলে এখন ছোট ছোট নৌকা করে বালি তুলে গাড়িতে চাপানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, অস্থায়ী কাঠ বা বাঁশের এই সেতুগুলো বর্ষার আগেই ইরিগেশন দপ্তর থেকে খুলে বা ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ থাকে। তবে ইতিমধ্যেই দামদরের বেশ কিছু জায়গায় এই সমস্ত সেতু জলের তলায় চাপা পড়ে যাচ্ছে। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});