ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে বারবার উদ্যোগী হয়েছেন কাউন্সিলার। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ প্রশাসনের সর্বময় কর্তাকে মঞ্চে বসিয়েই এলাকায় মদ,গাঁজা,হেরোইন,সাট্টা,জুয়া কারবারিদের উদ্যেশে হুঁশিয়ারি দিয়ে বার্তা দিলেন এই সমস্ত কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে,নয়ত তাদের এলাকাছাড়া করা হবে।বর্ধমানের ৩নম্বর ওয়ার্ডের রানা প্রতাপ ক্লাব প্রাঙ্গনে বুধবার বাল্য বিবাহ রোধ ও এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে একটি অনুষ্ঠানে এই হুঁশিয়ারি দিলেন স্থানীয় কাউন্সিলার মহঃ সেলিম খান। কার্যত এদিন এই মঞ্চ থেকে লক্ষীপুর মাঠ,মেহেদিবাগান এলাকায় অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিদের পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় এই ধরণের কোন কাজ বরদাস্ত করা হবে না। এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার কুনাল আগারওয়াল,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় সহ বর্ধমান পুরসভার একঝাঁক কাউন্সিলার।
কুনাল আগারওয়াল এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন,তিনি যখন প্রথম বর্ধমান জেলার দায়িত্বে আসেন তখন জানতে পেরেছিলেন এই এলাকায় অসামাজিক কার্যকলাপ বাড়বাড়ন্তের বিষয়টি। আর সেই জন্যই তিনি নিজে সাধারণ পোশাকে সাইকেল নিয়ে টহলও দিয়েছেন এই এলাকা। এই এলাকার ক্রিমিনাল এক্টিভিটিস বন্ধে পরবর্তীকালে পুলিশকে বিশেষ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে তিনি বলেন। তবে এলাকার শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষের এই অসামাজিক কাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এগিয়ে আসাকে এদিন পুলিশ সুপার বাহবা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন,মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত বিরোধিতায় অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিরা কখনই মাথা তুলে উঠতে পারবে না।এব্যাপারে জেলা পুলিশ সব সময় পাশে আছে।
সেলিম খান বলেন,এলাকার মানুষের সহযোগিতায় এখন অনেক সচেতন করা গিয়েছে এই সমস্ত অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত ব্যাক্তিদের। এব্যাপারে এগিয়ে এসেছে এলাকার পড়ুয়ারাও। আর তাদের প্রচেষ্টায় আটকানো গেছে মাঠে ঘটে শৌচকর্ম করার মত প্রবণতাও। তৈরী করে দেওয়া হয়েছে বহু শৌচাগার। এলাকার ৬টি চাইল্ড প্রোটেকশন ক্লাবকেও এদিন পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে জানান সেলিম বাবু। তিনি আরও বলেন,এলাকার পড়ুয়াদের বইমুখী করতে এলাকার একমাত্র পাঠাগারের উন্নয়ন করা হয়েছে। আনা হয়েছে ছোট থেকে বড়দের পড়ার মত নানান বই।
ছবি - সুরজ প্রসাদ