Headlines
Loading...
দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধে উদ্যোগ কাটোয়া প্রশাসনের, পাশে এবার সাধারণ মানুষও

দুই নাবালিকার বিয়ে বন্ধে উদ্যোগ কাটোয়া প্রশাসনের, পাশে এবার সাধারণ মানুষও


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কাটোয়া:নাবালিকার বিয়ে রুখতে এবার কন্যাশ্রীদের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছে সাধারণ মানুষও। এমনই  একটি উদাহরণ তৈরী হল কাটোয়া শহরের বাগানেপাড়ায়। এলাকার একাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীর আগামী ১লা মার্চ বিয়ে ঠিক হয়েছিল বরমপুর গ্রামে। সেই খবর কেউ ফোন করে চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধিদের জানায়।এরপর ঘটনাস্থলে হাজির হন কাটোয়া চাইল্ড লাইনের অফিসার সুচেতনা ভট্রাচার্য, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট আরিকুল ইসলাম,কাটোয়া সাবডিভিশনাল কন্যাশ্রী নোডাল অফিসার শ্যামলকান্তি দাস ও  প্রকল্পের ডাটা ম্যানেজার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই নাবালিকার পরিবারকে অল্প বয়সে বিয়ে দিলে কী কী সমস্যা হয় তা বোঝানো হয় এবং নাবালিকার বাবা গণেশ পালের কাছ থেকে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়া হয় ১৮ বছরের আগে মেয়ের বিয়ে দেবেন না। কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী আবার  বিদ্যালয়ে যাবে বলেও জানিয়েছে। 
অন্যদিকে কাটোয়া ২নংব্লকের অগ্রদ্বীপ গ্রাম পঞ্চায়েতের অগ্রদ্বীপ গ্রামের গোপীনাথপাড়ায় এক   নাবালিকার বিয়ে আটকাল প্রশাসন। গ্রামের বাসিন্দা পেশায় ক্ষেতমজুর ঘোতা বিশ্বাস মেয়ের বিয়ের জন্য পাত্র দেখাশুনো করছিলেন। কন্যাশ্রীদের সাহায্যে খবর পেয়ে ওই নাবালিকার বাড়িতে যান কাটোয়া ২নংব্লকের সমাজকল্যাণ আধিকারিক সুদর্শন মজুমদার, চাইল্ড লাইনের প্রতিনিধি ভিক্টর চক্রবর্ত্তী,কাটোয়া ২নংব্লকের জয়েণ্ট বিডিও শুভেন্দু বর্মন সহ অগ্রদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা। অগ্রদ্বীপ উচ্চ বিদ্যালয়ের  একাদশ শ্রেণীর ওই ছাত্রীর জন্য পাত্র দেখা ও বিয়ে বন্ধ করতে নির্দেশ দেন এবং অভিভাবকদের বোঝান তারা। এরপর নাবালিকার বাবা মুচলেকা দিয়ে জানিয়ে দেন ১৮বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত তিনি মেয়ের বিয়ে দেবেন না। মেয়েকে আবার স্কুলেও পাঠাবেন তিনি। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});