ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: চুরির মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এক যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধোর করার ঘটনা ঘটল ভাতার থানার রাধানগর গ্রামে। আর চুরি না করেও চোরের বদনাম দেওয়ার অপমানের জ্বালা সহ্য করতে না পেরে গলায় দড়ি আত্মহত্যাই করলেন সেই যুবক। ঘটনার পরেই চুরি যে সে করেনি এবং চুরি যাওয়া টাকা অন্যত্র পাওয়া গেছে বলে ওই যুবকের বাড়িতে এসে স্বীকারও করে নিলেন অভিযুক্তরা। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে ভাতার থানায় ৭জনের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা বলে পুলিশ জানিয়েছে। পেশায় ক্ষেতমজুর মৃত যুবকের নাম সেখ আকবর আলি (৩২)। মৃতের স্ত্রী রসুলা বেগম এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ভাতার থানার বিজয়পুর গ্রামের বাসিন্দা ৭জনের বিরুদ্ধে ভাতার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
মৃতের স্ত্রী রসুলা বেগম জানিয়েছেন, পরিবারের ৫জন সদস্যের মধ্যে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন তাঁর স্বামী। দিনমজুর, ক্ষেতমজুরের কাজ করে কোনোরকমে সংসার চালাচ্ছিলেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী গ্রামের একজনের বাড়ি থেকে ৪ হাজার টাকা চুরি যায়। পরের দিন ১৫ ফেব্রুয়ারী ভোরে বিজয়পুর গ্রামের ৭জন যুবক এসে তাঁর স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর গ্রামবাসীরাই এসে খবর দেয় তার স্বামীকে গ্রামের মসজিদের পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে বেধড়ক মারধোর করছে কয়েকজন। কারণ জানতে পেরে তড়িঘড়ি ঘর থেকে ৪হাজার টাকা নিয়ে গিয়ে গ্রামবাসীদের হাতে তুলে দিয়ে আকবর আলিকে গ্রামবাসীদের মারের হাত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।
রসুলা বেগম জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্বামীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই অভিযুক্তরা তাঁর বাড়িতে এসে জানিয়ে যান, যে টাকা চুরি গিয়েছিল সেই টাকা তারা অন্য জায়গা থেকে উদ্ধার করেছেন। তাই রসুলা বেগমদের দেওয়া ৪ হাজার টাকা তাঁরা ফেরত দিতে চান। যদিও তার থেকে ৫০০ টাকা তারা পিকনিক করার জন্য কেটে ৩৫০০ টাকা ফেরত দেন রসুলা বেগমকে। এমনকি অভিযুক্তরা আকবর আলিকে মিথ্যা অপবাদে মারধোর করার ঘটনায় ক্ষমাও চেয়ে যান। কিন্তু সেখ আকবর আলিকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দেওয়ায় তিনি তা সহ্য করতে না পেরে এর কিছুক্ষণ পরেই ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
রসুলা বেগম জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্বামীকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরই অভিযুক্তরা তাঁর বাড়িতে এসে জানিয়ে যান, যে টাকা চুরি গিয়েছিল সেই টাকা তারা অন্য জায়গা থেকে উদ্ধার করেছেন। তাই রসুলা বেগমদের দেওয়া ৪ হাজার টাকা তাঁরা ফেরত দিতে চান। যদিও তার থেকে ৫০০ টাকা তারা পিকনিক করার জন্য কেটে ৩৫০০ টাকা ফেরত দেন রসুলা বেগমকে। এমনকি অভিযুক্তরা আকবর আলিকে মিথ্যা অপবাদে মারধোর করার ঘটনায় ক্ষমাও চেয়ে যান। কিন্তু সেখ আকবর আলিকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দেওয়ায় তিনি তা সহ্য করতে না পেরে এর কিছুক্ষণ পরেই ঘরে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে তাকে ভাতার গ্রামীণ হাসপাতাল এবং পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।