ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: ৬৩ বছর আগে বর্ধমানের কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নেওয়া উদ্যোগকে নতুন করে গতি দিতে উদ্যোগী হলেন বর্ধমানের 'ছেলে' তথা রাজ্যের খাদ্য মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। কাজের জন্য বর্ধমান থেকে কলকাতায় গিয়ে রাত্রিযাপনের সুবিধার্তে কলকাতার বুকে একটি ভবন তৈরির কাজ হাতে নিয়েও শেষমেষ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল একসময়। সেই বর্ধমান সম্মিলনী-র ভবন গড়ে তোলার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্য নতুন করে উদ্যোগ নেবার কথা বললেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
রবিবার বর্ধমান সম্মিলনীর এক বৈঠকে তিনি বলেন, বর্ধমান থেকে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে নানা কাজে কলকাতায় যেতে হয়। কিন্তু সকলের থাকার জায়গা থাকেনা। তিনি বলেন আগামী তিন বছরের মধ্যেই এই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করা হবে। এব্যাপারে তিনি এদিনের বৈঠকে বর্ধমান সম্মিলনীর সম্পাদক বৈদ্যনাথ কোনারকে একটি কমিটি গড়ার দায়িত্ব দিয়ে ভবন তৈরীর কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি জ্যোতিপ্রিয়বাবু জানান,কলকাতার বাইরে বর্ধমান এবং উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতেও বর্ধমান সম্মিলনীর নামে তিনটি ভবন তিনি নির্মাণ করতে চান। এ কাজে সকল বর্ধমানবাসীকে এদিন তিনি এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ,স্বাধীনতার কয়েক বছর পর ১৯৫৫-১৯৫৬ সালে তৈরী হওয়া বর্ধমান সম্মিলনী সংগঠনের পক্ষ থেকে কলকাতার বুকে বর্ধমানবাসীর জন্য একটি ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন ১৫ জন স্বাধীনতা সংগ্রামীর একটি দল। সেই দলে ছিলেন খোদ খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বাবা শক্তিপদ মল্লিকও। এছাড়াও ওই দলে আনন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়, নারায়ণ চৌধুরীর মত মানুষেরাও ছিলেন, যারা মনে করেছিলেন রাজধানীতে কাজের জন্য যাওয়া বর্ধমানের মানুষদের রাত্রিযাপনের সুবিধার্থে একটি ভবন থাকা দরকার। সে সময় তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে তৎকালীন রাজ্যসরকার প্রায় সাড়ে পাঁচ কাঠা জমিও দান করে কলকাতার সল্টলেকের এ ই ব্লকে। ভবন নির্মাণের কাজ শুরুও করে দেন সম্মিলনীর সদস্যরা। কিন্তু সেই কাজ হঠাৎ করেই বন্ধও হয়ে যায়।
এরপর ২০১১ সালে আবারও বর্ধমান সম্মিলনী এবং কলকাতার বুকে সম্মিলনীর ভবন নির্মাণের বিষয়ে জানা গেলে বর্ধমানের ছেলে হিসাবে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক নিজে উদ্যোগী হন এই ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করার জন্য। রবিবার বর্ধমানে সম্মিলনীর বৈঠকে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের সেই উদ্যোগকে সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দিয়ে গেলেন তিনি।
ছবি - সুরজ প্রসাদ