ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:সোমবার সকাল থেকেই সরস্বতী পুজোকে ঘিরে যখন স্কুলে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের ভিড় উপচে পড়েছে, সেই সময় স্কুলের পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এক ছিনতাইবাজের খপ্পরে পড়লেন বর্ধমানের বিদ্যাথী গার্লস স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী মৌমিতা হাটি। তবে ছিনতাইবাজের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রীতিমতো সাহসিকতার নজির সৃষ্টি করে ছিনতাইবাজকে ধরে ফেলে মৌমিতা। চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোক জোর হয়ে গিয়ে চোরকে ঘটনাস্থলেই দিয়ে দেয় উত্তম মধ্যম। খবর যায় বর্ধমান থানায়।পরে পুলিশ এসে নিয়ে যায় ছিনতাইবাজকে।
সোমবার দুপুরে খোদ বর্ধমান শহরের বুকে দিনের বেলায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি মৌমিতা হাটির সাহসিকতারও প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে খোদ পুলিশ কর্তারাও।
সোমবার দুপুরে খোদ বর্ধমান শহরের বুকে দিনের বেলায় এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি মৌমিতা হাটির সাহসিকতারও প্রশংসা করেছেন সাধারণ মানুষ থেকে খোদ পুলিশ কর্তারাও।
মৌমিতা হাটি জানিয়েছেন, এদিন সকালে তিনি বাবার সঙ্গে স্কুলে আসেন পুষ্পাঞ্জলি দিতে। পুষ্পাঞ্জলি শেষ হতে দেরি হওয়ায় সে বাবাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন।এরপর দুপুরে একটা টোটো ধরে একাই বর্ধমানের ইন্দ্রকানন এলাকায় তার বাড়ি ফিরছিলেন। জিটি রোডের ওপর টোটোকে ছেড়ে দিয়ে বাড়ির গলিপথ ধরে এগোতেই হঠাতই তার হাতে থাকা একটি ব্যাগ এবং মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় এক যুবক। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই দুষ্কৃতী তার কানের দুল ছিনতাই করে পালাবার চেষ্টা করতেই মৌমিতা ছুটে ছিনতাইবাজের জামার কলার চেপে ধরে। কোনোরকম ভয় না পেয়েই তিনি চিৎকার করতে শুরু করেন।চিৎকার শুনে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষজন। এরপর ছিনতাইবাজের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মৌমিতার ব্যাগটি, যার মধ্যে ছিল তার মোবাইল ফোন এবং কিছু টাকা। উদ্ধার হয় তার কানের দুলও। এরপরই শুরু হয় বেধড়ক গণধোলাই। খবর দেওয়া পুলিশে। বর্ধমান থানার পুলিশ খবর পেয়ে ছিনতাইবাজকে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, ঝণ্টু হাজরা নামে ওই ছিনতাইবাজের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এদিকে দিনদুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় শহরের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শহরবাসীর একাংশ।
ছবি - সুরজ প্রসাদ