পল মৈত্র,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ বালুরঘাট পুরসভা জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তা পূরণ করতে পারল না। অবশ্য এটা প্রথম নয়, এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত এই পুরসভা গতবছর বাংলা নববর্ষে পানীয় জল প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেবারও তারা তা চালু করতে পারেনি। এনিয়ে শহরবাসী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে ক্ষোভ জমছে। যদিও পুরসভা দাবি করেছে এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে তারা বাড়ি বাড়ি পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেবে।
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন শীল জানান, পুরসভার পানীয় জল প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষের পথে। এখন সামান্য কিছু প্রক্রিয়া অবশিষ্ট আছে। আশা করা যাচ্ছে, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে আমরা বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দিতে পারব।
পুরসভার বিরোধী দলনেত্রী আরএসপি’র সুচেতা বিশ্বাস জানান, মাসখানেক আগেই শুনেছিলাম পানীয় জল প্রকল্প পুরসভা কর্তৃপক্ষ চালু করে দেবে। কিন্তু পরিষেবা চালু হওয়ার কোনও লক্ষণই দেখছি না। যারা বোর্ডে রয়েছে তারা জানেই না কবে পুরবাসীর বাড়িতে জল পৌঁছে দিতে পারবে।
ইংরেজি নতুন বছরের উপহার হিসেবে পুরসভা শহরবাসীকে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। পুরসভা কর্তৃপক্ষ বলেছিল, জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে বাসিন্দারা বাড়িতেই পানীয় জল পাবেন। এটা জানার পর শহরবাসী জল পাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু জানুয়ারি মাস শেষ হতে চললেও প্রকল্প চালু না হওয়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে হতাশা তৈরি হয়েছে। এনিয়ে অনেকেই পুরসভার ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশে করেছেন। অনেকেই বলছেন, এই পুরবোর্ড একেরপর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কোনওটাতেই সফল হচ্ছে না। পুরসভা প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কয়েকদিন অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু অনিয়মিত নজরদারির কারণে শহরে দেদার নিষিদ্ধ প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগে আনাজপাতি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস বিক্রি হচ্ছে।
বাসিন্দারা বলেন, পুরসভা গত বৈশাখ মাসে শহরে পানীয় জল প্রকল্প চালুর বিষয়ে বাসিন্দাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেসময়ে কাজ অনেকটা বাকি থাকায় তা চালু করতে পারেনি। পরবর্তীতে ইংরেজি নতুন বছরের উপহার হিসেবে বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পুরসভা পালন করত পারল না।
তবে পুরসভার দাবি, রিজার্ভার তৈরি থেকে মেশিন বসানো কিংবা রাস্তা খুঁড়ে জলের পাইপ লাইন বসানো সব কাজই হয়ে গিয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, জল সরবরাহের দায়িত্ব কোনও একটি সংস্থাকে দেওয়া হবে। এজন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হলেই জল পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।