Headlines
Loading...
প্রতারক ব্যাবসায়ীদের সতর্ক এবং ক্রেতাদের সচেতন করতে রাস্তায় নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।

প্রতারক ব্যাবসায়ীদের সতর্ক এবং ক্রেতাদের সচেতন করতে রাস্তায় নামল পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন।


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:লোক ঠকানো কারবার বন্ধের জন্য এবার উঠেপড়ে লেগেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। সম্প্রতি লিগ্যাল মেট্রোলজি দপ্তর, বর্ধমান শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন এবং ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরকে নিয়ে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। আর তারপরেই জেলা জুড়ে লোক ঠকানো কারবার বন্ধের জন্য রাস্তায় নামার নির্দেশিকা জারী করা হয়। আর সেই নির্দেশ অনুসারেই মঙ্গলবার থেকেই পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে রাস্তায় নামল বর্ধমান জেলা ক্রেতা সুরক্ষা কল্যাণ কেন্দ্র এবং পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্স।
ক্রেতা সুরক্ষা কল্যাণ কেন্দ্রের সম্পাদক মহম্মদ কুদরাতুল আবেদিন জানান, প্রতিদিনই বাজারে বিভিন্ন ভাবে ওজনের কারচুপির শিকার হন সাধারণ মানুষ। দাঁড়িপাল্লা থেকে বাটখারার এই কারচুপি ছাড়াও গ্যাস সিলিণ্ডারের ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষ অনেক সময়ই প্রতারিত হচ্ছেন। প্রতারিত হচ্ছেন যে কোনো ধরণের কেনাকাটা করার ক্ষেত্রেও। তাই লিফলেট ছড়িয়ে, মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার কাজ শুরু হয়েছে। যে কোনো কেনাকাটায় কি কি ধরণের সতর্কতা নেওয়া দরকার তা তুলে ধরা হচ্ছে।
পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্সের সম্পাদক চন্দ্রবিজয় যাদব জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই লোক ঠকানো কারবার বন্ধের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের উদ্যোগী হবার নির্দেশ দেন। তাঁরাও চান ক্রেতা সঠিক মূল্য দিয়ে সঠিক জিনিসই কিনুন। তাই তাঁরাও এব্যাপারে সমস্ত ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার জন্য এবং সঠিক দাঁড়িপাল্লা, বাটখারা বা ওজন মাপার যন্ত্র ব্যবহার করার আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও যে কোনো জিনিস কেনার আগে তার ওজন, হল মার্ক, প্যাকেটজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে কোম্পানীর নাম, প্যাকেজিং-এর তারিখ, মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখ সব কিছুই দেখে নেবার আবেদন জানিয়েছেন। এছাড়াও কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঠকে যাবার ঘটনা ঘটলে কার কাছে
কিভাবে অভিযোগ জানানো দরকার সে ব্যাপারেও সচেতন করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ কেনাকাটার থেকেও বিশেষ করে সোনা-রূপো কেনাকাটার ক্ষেত্রে যেহেতু ক্রেতা ঠকে গেলে তার আর্থিক পরিমাণ অনেক বেশি তাই সোনারূপোর ব্যবসায়ীদেরও এব্যাপারে সজাগ করা হয়েছে। এদিনই প্রথম দফায় ১০ হাজার লিফলেট বিলি করা হয়েছে।
বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নিখিল নির্মল জানিয়েছেন, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতন করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সচেতন করার পর তাঁরা গোটা জেলা জুড়েই বিভিন্ন দোকানে দোকানে অভিযান চালাবেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});