Headlines
Loading...
আধুনিকতার ছোঁয়ায় পূর্বস্থলীর খাল বিল উৎসব জৌলুষ হারাচ্ছে !

আধুনিকতার ছোঁয়ায় পূর্বস্থলীর খাল বিল উৎসব জৌলুষ হারাচ্ছে !


পল্লব ঘোষ,কালনা:আধুনিকতার ছোঁয়াতে পূর্বস্থলীর খাল বিল উৎসবের জৌলুষ হারাচ্ছে একটু একটু করেই। সেই ২০০১ সাল থেকে পূর্বস্থলী  ১নম্বর ব্লকের বড় কোবলা ও ছোটো কোবলা গ্রামের বাঁশদহ বিলে মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ কিছু মানুষকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর শুরু করেছিলেন খাল বিল উৎসব।উদ্দেশ্য ছিল গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যেতে বসা চুনো,পুটি,মৌরলা,কই,ভোদা প্রভৃতি বহু ছোট মাছের চাষ করার অভ্যাস তৈরী করিয়ে কিছু মানুষকে স্বয়ম্ভর করা। দেখতে দেখতে ১৬টা বছর পার হয়ে গেলো এই গ্রামীণ উৎসবের।ইতিমধ্যেই এক এক করে যোগ হয়েছে চুনো মাছ বাঁচাও, পিঠে পুলি উৎসবের। শুরুর দিকে বাঁশদহ বিল ছিল শাপলা ফুল আর পানাদের দখলে। যা ছিল চুনো মাছ চাষের উপযুক্ত পরিবেশ। এখন সে সব অতীত। এখন বাঁশদহ বিল চকচকে জলাশয়। বিলের তীরবর্তী রাস্তা ঘাট কংক্রিটের ঢালায়ে মোড়া। শহরের ছোঁয়া এসি লাগানো গেষ্ট হাউসে। কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে পল্লি গ্রামের সেই হৃদয় জয় করা প্রকৃতি। নদীর জলে ভাসমান মঞ্চ করে আর বাউল গান নেই ।শুধু এক নৌকাতেই বাউল গান শোনায় আগত অভ্যাগতদের। অতিথিদের পাত থেকে সরেছে কাঁকড়া,কুঁচো চিংড়ির পদ।কই হয়েছে ছোট।

 
সোমবার ২৫ডিসেম্বর সকাল থেকেই শুরু হয়েছে পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে চুনো মাছ ও পিঠে পুলি উৎসব। যার আরেক নাম খাল বিল উৎসব। খাল বিল উৎসবের  জন্মলগ্ন থেকে যারা দেখে এসেছেন তাদের মুখেই শোনা গেল এমন নানান বিষাদের সুর। অবশ্য মেলা উদ্যোক্তারা এই দাবী উড়িয়ে দিয়ে বলেন, নিন্দুকেরা যা খুশি বলতেই পারেন। যদি এতো বছরে এই এলাকার কোনো উন্নয়ন না হতো,তখন এই মানুষেরাই বলতেন এতো টাকা বরাদ্দ হচ্ছে,যাচ্ছে কোথায়? টাকা কার পকেটে ঢুকল? তবে অতীতের তুলনায় এই নিবিড় গ্রামীণ উৎসবে যে আধুনিকতার ছোয়া লেগেছে তা সহজেই উপলব্ধি করছেন উৎসবে আগত অভ্যগতরা।
                                                                                                                     ছবি - সুরজ প্রসাদ  

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});