Headlines
Loading...
পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে ক্রেতা ঠকানোর বিরুদ্ধে সমস্ত দোকানে অভিযানের  সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের।

পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে ক্রেতা ঠকানোর বিরুদ্ধে সমস্ত দোকানে অভিযানের সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের।


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে সম্প্রতি ক্রেতা বঞ্চনা ও ক্রেতাদের ঠকানোর একাধিক অভিযোগ জমা পড়ায় রীতিমত কড়া হাতেই মোকাবিলা করার পথে পা বাড়ালো জেলা প্রশাসন। এব্যাপারে সমগ্র পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়েই এবার অভিযানে নামতে চলেছে জেলার ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তর। মঙ্গলবার জেলার ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের সমস্ত আধিকারিক, পূর্ব বর্ধমান জেলা চেম্বার অব ট্রেডার্স এবং ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির প্রতিনিধিদের নিয়ে এব্যাপারে বৈঠক করলেন বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নিখিল নির্মল। বৈঠকে গোটা জেলা জুড়েই সমস্ত দোকানে দোকানে হানা দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। খুচরো থেকে পাইকারী, সোনার দোকান থেকে গ্যাসের দোকান সর্বত্র ক্রেতা বঞ্চনা ও ক্রেতাদের ঠকানোর একাধিক অভিযোগ জমা পড়ায় রীতিমত কড়া হাতেই মোকাবিলা করার পথে পা বাড়ালো জেলা প্রশাসন। এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ক্রেতাদের এবং ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে লিফলেট বিলি এবং মাইকে সর্বত্র প্রচার চালানো হবে। এব্যাপারে লিফলেট বিলি ও তৈরীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চেম্বার অব ট্রেডার্সকে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এই সাতদিনের মধ্যে ব্যবসায়ীরা ওজন মাপার যন্ত্র, বাটখারা প্রভৃতি ঠিক না করলে সরকারী প্রতিনিধিরা অভিযানে গিয়ে কোনো ত্রুটি পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চেম্বার অব ট্রেডার্সের সম্পাদক চন্দ্র বিজয় যাদব জানান, বৈঠকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যে লিফলেট বিলি ও মাইকে প্রচারের পর তারা সমস্ত দোকানে দোকানে যাবেন। এব্যাপারে চেম্বার অব ট্রেডার্স সর্বাত্মকভাবে প্রশাসনকে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, এদিনের বৈঠকে অভিযোগ ওঠে, দীর্ঘদিন যেমন বিভিন্ন দোকানে দোকানে বাটখারাগুলিকে পরীক্ষা করা হয়নি বা তার সঠিক ওজনও পরীক্ষা করা হয়নি তেমনই বিভিন্ন দোকানদারও ওজনে কারচুপি করে ক্রেতাদের কার্যত ঠকাচ্ছেন। গ্যাসের দোকানের ক্ষেত্রেও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ এসেছে, অনেক সময়ই সিলিণ্ডারের নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্যাস থাকছে না। নিয়মানুযায়ী গ্যাস সরবরাহের সময় ক্রেতাকে গ্যাসের সঠিক ওজন মেপে দেখিয়ে দেওয়া আবশ্যক। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। জেলার বহু বিয়েবাড়ি এবং মিষ্টির দোকান সহ খাবারের দোকানের বিরুদ্ধেও অভিযোগ উঠেছে তারা ডোমেষ্টিক সিলিণ্ডার ব্যবহার করেই ব্যবসা করছেন। অভিযোগ উঠেছে, বহু মিষ্টির দোকানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই তৈরী হচ্ছে বিভিন্ন মিষ্টি সহ খাবারদাবারও। যা রীতিমত অস্বাস্থ্যকরই নয়, তা থেকে যেকোনো সময়েই বিভিন্ন রোগেও আক্রান্ত হতে পারেন ক্রেতারা।
এদিনের বৈঠকে এই বিষয়গুলি নিয়েও আচমকা দোকানে দোকানে হানা দেবার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এছাড়াও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে সোনা-রূপোর দোকান নিয়েও। বলা হয়েছে, সাধারণ তরিতরকারী বা মুদিখানা দোকানে ওজনে কারচুপি করলে ক্রেতার যত অর্থ ক্ষতি হয় তার থেকেও বেশি ক্ষতি হয় সোনার দোকানে আসা ক্রেতাদের। তাই নজীরবিহীনভাবেই সোনারূপোর দোকানেও হানা দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এদিন। এছাড়াও বিদ্যুত বিলের ক্ষেত্রেও অভিযোগ উঠেছে নির্ধারিত ইউনিটের থেকেও অনেক সময় বেশি অর্থ নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এব্যাপারেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});