ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বাঁকুড়া: অষ্টম শ্রেণীর এক নাবালিকা ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগে বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ পল্লীর রামকৃষ্ণ আশ্রমের এক মহারাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিলেন বাঁকুড়া আদালতের বিচারক।
সোমবার এই রায় ঘোষণার পর রীতিমতো আলোড়ন পরে যায় রাজ্য জুড়ে।পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে,২০১৬ সালের ২০ অক্টবর বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা অজয় মাল বাঁকুড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। সেখানে উল্লেখ করেন যে তাঁর নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে স্থানীয় রামকৃষ্ণ আশ্রমের স্নেহাশিস মহারাজ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। সেই সব মুহূর্তের ভিডিও মোবাইল ফোনে তুলে রেখে পরে ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতে থাকে তাঁর মেয়েকে। এমনকি সেই সব কথা বাইরের কাউকে জানালে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় ওই ব্যাক্তি। কিন্তু ছাত্রীটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ বোধ করায় তার মাকে সমস্ত কথা জানিয়ে দেয়। আর এরপরই নাবালিকার বাবা অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বাঁকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,অভিযুক্ত স্নেহাশিস মহারাজ ওরফে চৌধুরীর বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি থানার বামুনিয়া গ্রামে।
ঘটনার গুরুত্ব বুঝে পুলিশ ওই ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করে। মাত্র এক বছরের মধ্যে অভিযুক্ত ব্যাক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে দেয় পুলিশ। সোমবার বাঁকুড়া জেলা আদালতের পস্কো কোর্টের বিচারক ধরণীধর অধিকারী অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে,বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ পল্লীর বাসিন্দা অষ্টম শ্রেণীর এক ছাত্রী নিয়মিত স্থানীয় রামকৃষ্ণ আশ্রমের লাইব্রেরিতে পড়াশোনার জন্য যাতায়াত করতো। স্নেহাশিস মহারাজ ওই নাবালিকার সঙ্গে ছল চাতুরী করে নানান প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এমনকি নিজের মোবাইল ফোনে সেই সব ঘনিষ্ট মুহূর্তের ছবি ভিডিও করে রাখতো। পরে মেয়েটি আপত্তি জানলে সেই ভিডিও ছবি দেখিয়ে রীতিমতো বদনাম করে দেবার ভয় দেখাতো আসামি। এই ভাবেই দিনের পর দিন নাবালিকা মেয়েটিকে ধর্ষণ করেছে ওই মহারাজ বলে মেয়েটির বাবা থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল।