ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: আইনের জটিলতা কাটিয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলা ও তাঁর সাত মাসের শিশু সন্তানকে পরিবারের হাতে তুলে দিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ। বুধবার পূর্ব বর্ধমান জেলার আইনি সহায়তা কেন্দ্রের এই মানবিক মুখ দেখলো বিহারের বাসিন্দা গোদাবরী দেবী ও তাঁর পরিবার।
জেলা আইনি সহায়তা কেন্দ্রের সচিব জয় প্রকাশ সিং জানান,প্রায় বছরখানেক আগে গোদাবরী দেবী নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে বর্ধমান শহরের রাস্তা থেকে উদ্ধার করে কলানবগ্রামের নিবেদিতা হোমে পাঠানো হয়েছিল।ধারাবাহিক চিকিৎসা চালানোর পর মহিলাটি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।কিন্তু কিছুদিন পর থেকে মহিলাটি তার শিশু পুত্রর ওপর অত্যাচার শুরু করে। তাকে খামচে,আঁচড়ে দিয়ে মারতে থাকে।নিবেদিতা ভবন হোম কতৃপক্ষ সেই সময় চাইল্ড ওয়েল ফেয়ার -এর হাতে শিশুটিকে তুলে দেয় রক্ষণাবেক্ষনের জন্য।চাইল্ড ওয়েলফেয়ার বর্ধমানে শিশুটিকে একটি হোমে রেখে লালন পালনের ব্যবস্থা করে।
অন্যদিকে গোদাবরী দেবীর চিকিৎসাও চালাতে থাকে নিবেদিতা হোম। পরে চিকিৎসক মহিলাটিকে সুস্থ বলে জানান। মেডিকেল সার্টিফিকেটও দেন চিকিৎসক। এরপর গোদাবরী দেবীর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁর সন্তানকে। শিশুটির বয়েস এখন প্রায় সাত মাস।
গোদাবরী দেবীর পরিবারের সন্ধান মেলে পুলিশের সহায়তায়। এরপরই বর্ধমান জেলা আইনি সহায়তা কর্তৃপক্ষ গোদাবরী দেবী ও তার শিশু পুত্রকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেবার জন্য আইনের দিক থেকে সবরকম চেষ্টা শুরু করে। ইতিমধ্যে গোদাবরী দেবীর বয়েস ১৮ বছর অতিক্রম করে।
আইনি সহায়তা কর্তৃপক্ষর সচিব জয় প্রকাশ সিং জানান,আমরা সব রকম কাগজপত্র খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করে গোদাবরী দেবীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরেছি। এটা আমাদের কাছে খুশির ব্যাপার।হারিয়ে যাওয়া মেয়েকে আবার ফিরে পেয়ে খুশি গোদাবরীর পরিবারের সদস্যরাও।