
ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,নন্দীগ্রাম:নন্দীগ্রাম আন্দোলন ভবিষ্যৎ প্রজন্মও স্মরণ করবে। সূর্যোদয়ের নামে সিপিএমের গণহত্যা ভোলাবার নয়। যাঁরা নন্দীগ্রাম আন্দোলনের গুরুত্ব বোঝেন তাঁরা বছরের পর বছর সামিল হবেন ১৪ মার্চ আর ১০ নভেম্বরের স্মরণসভায়। শুক্রবার নন্দীগ্রামের গোকুলপুরে ১০ নভেম্বরের স্মরণসভার অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এ কথা জানালেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের হোতা তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চের গণহত্যার পর ১০ নভেম্বর পুনরায় সূর্যোদয়ের নামে হার্মাদরা অপহরণ ও খুন করে ৯ জনকে। গোকুলনগরে মারা গেছিলেন রেজাউল করিম ও শ্যামলি মান্না। বাকিদের লাশ পাচার করার সময় পুলিসের হাতে ধরা পড়ে যায় সিপিএমের সম্পদ তপন ঘোষ ও সুকুর আলি। আন্দোলনের পর কেটেছে ১১ বছর। কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি অভিযুক্তদের। তবে দোষীরা যে সাজা পাবে সে বিষয়ে আশাবাদী শুভেন্দু অধিকারী।

স্মরণসভায় এসে জানালেন,একজন মন্ত্রী হয়ে বিচার ব্যবস্থার সমালোচনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই। বিচার ব্যবস্থা দীর্ঘপ্রসারী। আমাদের আস্থা আছে। একদিন চরম সাজা হবে অভিযুক্তদের।
এছাড়াও এদিন শুভেন্দু বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনে আমি মানুষকে পথে নামিয়ে ছিলাম। নন্দীগ্রামই পথ দেখিয়েছিলো পশ্চিমবাংলাকে বাম শাসনের হাত থেকে রাজ্যবাসীকে রেহাই পেতে। তাই আমার দায়িত্ব আছে। হাজারো ব্যস্ততা পেরিয়েও আমি ১৪ মার্চ আর ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে আসি। আগামী দিনেও আসব। এটা আমার দায়িত্ব আর কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। এবং আমি আশাবাদী এই কাজে নন্দীগ্রামবাসীও সামিল হবেন।
