ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: খাদ্যশস্যে সবুজ বিপ্লবের পর এবার রাজ্যে মাছ চাষেও নীল বিপ্লব ঘটাতে চলেছে রাজ্য সরকার। চলতি বছরেই মৎস দপ্তরের পুরনো আইএফপি প্রকল্পকে বদলে দিয়ে নীল বিপ্লব নাম দিয়ে নয়া প্রকল্পের সূচনা করেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই নয়া এই প্রকল্পের জন্য রাজ্যের প্রতিটি জেলায় জেলায় নির্দিষ্ট কোটাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। নীল বিপ্লব প্রকল্প রূপায়ণের জন্য পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৫ হেক্টর এলাকার লক্ষ্যমাত্রাও দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান জেলা পরিষদের মৎস ও প্রাণী সম্পদ দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ মন্দিরা দলুই জানান, নয়া এই প্রকল্পে পুকুরের নিজস্ব মালিকানা থাকতে হবে। এছাড়াও যদি কেউ ভাগচাষী হন তারও দীর্ঘমেয়াদী লিজ থাকতে হবে। এই শর্ত পূরণ করলে মাটি কাটা এবং পুকুরের মাছ চাষ বাবদ সর্বাধিক খরচের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত সাবসিডি বা ভর্তুকি পেতে পারবেন মৎস চাষীরা। তিনি জানান, যেভাবে ধারাবাহিক চেষ্টার ফলে গোটা রাজ্যে চাষাবাদে সবুজ বিপ্লব ঘটানো হয়েছে, যার ফলে এখন ফসল উৎপাদনে কোনো অভাব নেই,
ঠিক সেই মডেলেই এবার রাজ্য সরকার মাছ চাষেও নীল বিপ্লব ঘটাতে চলেছেন।
তিনি জানান, এখনও রাজ্যের মাছের যোগান প্রতিদিন ঠিক রাখতে ভিন রাজ্য থেকে মাছ আমদানী করতে হয়। আর তাই মাছ চাষেও স্বয়ংসম্পূর্ণতা আনতে রাজ্য সরকার এই নীল বিপ্লবের ডাক দিয়েছেন। যার মূল লক্ষ্যই মাছ চাষের এলাকাকে আরও বাড়ানো এবং মাছের উৎপাদন আরও বাড়ানো।
মন্দিরাদেবী জানান, শুধু এটাই নয়, প্রতিবছরের মত এবছরও গোটা জেলা জুড়েই নদী, খাল বিলে মাছের পোনা ছাড়ার কাজ শুরু হয়েছে। গত ২৭ নভেম্বর থেকে জেলায় বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে মাছ ছাড়া শুরু হয়েছে। জামালপুর, মেমারী-১এর অধীন দামোদরের দুটি ঘাটে ইতিমধ্যেই ৮ হাজার চারাপোনা ছাড়াও হয়েছে। আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্বস্থলী ১এর নসরতপুর, কালনা -১ এর মিরজাতপুর গঙ্গার ঘাটে আরও ৮ হাজার করে চারাপোনা ছাড়া হবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন নদী, খালবিল এবং সরকারী জলাশয়গুলিতেও চারাপোনা ছাড়া হয়েছে। তিনি জানান, মোট ৪০ হাজার চারাপোনা ছাড়া হচ্ছে এবছর। এই চারাপোনার মধ্যে রয়েছে রুই, কাতলা, চিতল, কই, মৃগেল প্রভৃতি।
ছবি - ইন্টারনেট