Headlines
Loading...
পূর্ব বর্ধমানে সীতাভোগ মিহিদানায়  জি আই অনুমোদন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক ।

পূর্ব বর্ধমানে সীতাভোগ মিহিদানায় জি আই অনুমোদন নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক ।

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক: বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ মিহিদানা ইতিমধ্যেই জিওগ্রাফিক্যাল ইণ্ডিকেশন পেয়ে গেছে।  কিন্তু প্রশ্ন দেখা দিয়েছে যেহেতু সীতাভোগ এবং মিহিদানা ইতিমধ্যেই জিআই পেয়েছে তাই যে কোনো দোকানদারই তা নিয়ে প্রচার করতে পারেন। যা থেকে সাধারণ খদ্দেররাও ঠকতে পারেন।  কেবলমাত্র পূর্ব বর্ধমান জেলাতে  মিষ্টির দোকান রয়েছে প্রায় ১ হাজারের কাছাকাছি। আবার খোদ বর্ধমান শহরেই রয়েছে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় ২০০ দোকান। বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানার নাম শুনেই যে কেউ  যে কোনো দোকান থেকে সীতাভোগ মিহিদানার মতো মিষ্টি বাড়ি নিয়ে যান। অনেক সময় মিষ্টির গুণগত মান নিয়ে ওঠে অভিযোগও। আর এই সমস্যা থেকে  বেড়িয়ে আসতে এবার তৎপর  হল বর্ধমান জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার বর্ধমানের জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে বর্ধমানের সীতাভোগ মিহিদানা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠকও হয়ে গেল। জেলাশাসক জানিয়েছেন, এই সমস্যা থেকে বেড়িয়ে আসতে এদিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রথম ধাপে বর্ধমান শহরের ১৫-১৬টি দোকানকে তাঁরা চিহ্নিত করে তা পাঠাবেন রাজ্যের পেটেণ্ট দপ্তর এবং সায়েন্স ও টেকনোলজি দপ্তরে। সেখান থেকে  চিহ্নিত দোকানদের নিয়ে করা হবে কর্মশালা।
 জিআই নির্দিষ্ট মানের সীতাভোগ ও মিহিদানা যাঁরা তৈরী করতে পারবেন কেবলমাত্র তাঁরাই জিআই অনুমোদিত সীতাভোগ – মিহিদানা বিক্রির জন্য মনোনীত হবেন। ফলে এই ব্যবস্থা চালু হলে সাধারণ ক্রেতা থেকে সাধারণ মানুষ নির্দিষ্ট দোকান থেকেই তা কিনবেন। ঠকার সম্ভবনা কমবে। এদিকে, এব্যাপারে ওই এ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ সৌমেন দাস জানিয়েছেন, এর আগে রাজ্য পেটেণ্ট দপ্তরে এই সমস্যা জানিয়ে বাবস্থা গ্রহনের আর্জি জানানো হয়েছিল। এমনকি গত ২৯ জুন বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে আসার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  কাছে তাঁদের এই বিজ্ঞানসম্মত প্যাকেজিং করার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। এরপরেই মুখ্যমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচীবকে গোটা বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন।
সৌমেন দাস জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত যাঁরা গুণগত মান বজায় রেখেই সীতাভোগ মিহিদানা তৈরী করছেন তাঁদের মধ্যে থেকেই ১৬ জনের নাম তারা আগামী ২ আগষ্টের মধ্যে তুলে দেবেন প্রশাসনের হাতে। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});