Headlines
Loading...
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও হুঁশ ফেরেনি, মৃত্যু সদ্যজাতের

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও হুঁশ ফেরেনি, মৃত্যু সদ্যজাতের

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, পূর্ব মেদনীপুরঃ মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেও টনক নড়েনি নার্সিংহোম গুলির। তমলুকের একটি নার্সিংহোমে  চিকিৎসার গাফিলতির জন্য মৃত্যু হল সদ্যজাতের। অভিযোগ ডাক্তার নয়, নার্সিংহোমের স্টাফ গর্ভবতী মহিলার প্রসব করান। ভুপতিনগর থানার মাধাখালির বাসিন্দা সত্যপ্রকাশ মাইতি তার গর্ভবতী স্ত্রী পূর্ণিমাকে চলতি মাসের ৫ তারিখ তমলুকের মাদার নার্সিংহোমে সকাল ১০ টায় ভর্তি করে। পূর্ণিমার অভিযোগ প্রসব যন্ত্রনা হওয়ায় তাকে লেবার রুমে নিয়ে যায়। ডাক্তার আগে বলেছিলেন পূর্ণিমার স্বাভাবিক প্রসব হবে। লেবার রুমে নার্সিংহোমের যে স্টাফরা ছিল তাঁরা এই বিষয়ে অভিঞ্জ নয়। ডাক্তার না ডেকে তারাই প্রসব করানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পরিস্থিতি যখন খারাপ হতে থাকে তখন ডাক্তারকে খবর দেওয়া হয়। প্রসবের পর সদ্যজাতের অবস্থার অবনতি হলে জেলা হাসপাতালের এস এন সি ইউ তে ভর্তি করা হয়। মৃত্যুর সংগে লড়াই করে ৯ জুলাই সদ্যজাত শিশুটির মৃত্যু হয়।  
সত্যপ্রকাশ মাইতি বলেন, নার্সিংহোমের গাফলতি জন্য তার সন্তানের মৃত্যু হল। কোন ডাক্তার ছাড়াই প্রসব করানোর চেষ্টা চালিয়েছিল নার্সিংহোমের স্টাফেরা। সত্যপ্রকাশ বাবু তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমার কাছে লেবার রুমে সেদিন ঠিক কি কি ঘটেছিল তা ভালো করে জানে্ন এবং এরপর ১৪ জুলাই তমলুক থানায় নার্সিং হোমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে তমলুক থানার পুলিশ মাদার নার্সিংহোমে গিয়ে তদন্ত চালায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বারবার নার্সিংহোম গুলিকে কড়া হুসিয়ারি দিলেও হেলদোল দেখা যাচ্ছেনা। জেলা সফরে এসে ১২ জুলাই প্রশাসনিক বৈঠকে নার্সিংহোম গুলিকে সঠিক পরিষেবা প্রদান, অযথা রোগীদের হয়রানি- এইসব কোন কিছুই যেন না হয় সে ব্যপারে সতর্ক করেন। অভিযোগ  কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের আগেই এই ঘটনা ঘটে। পরিবারের আবেদন রাজ্য সরকার যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়। তাই এখন দেখার বিষয় নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন কি ব্যবস্থা নেয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});