Headlines
Loading...
বর্ধমান জেলায় ৯৪ জন মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন।

বর্ধমান জেলায় ৯৪ জন মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন।

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্কঃ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভাবনীয় আবিস্কার আজ মানব সভ্যতাকে উন্নতির এক চরম শিখরে এনেছে। তবু মৃত্যুর পরে কি, এই ভাবনা এখনো আমাদের গোপন চিন্তায় ঘোরা ফেরা করে। চিকিৎসা বিজ্ঞান এগিয়েছে। মানুষের গড় পরমায়ু বেরেছে। তবু দুরারোগ্য রোগ আছে, মৃত্যুও আছে। আমরা রক্তদান করি, চক্ষু দান করি, কিডনি দান করি। একই ভাবে কোন অঙ্গপ্রত্যঙ্গে প্রতিষ্ঠাপনের জন্য দেহ দান কি খুব কঠিন কাজ?
রবিবার বর্ধমানে মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার নিয়ে ব্যাঙ্ক, বীমা যৌথ প্রচার মঞ্চের উদ্যোগে জেলায় প্রথম কর্মসূচী পালিত হল। মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করলেন ৯৪জন। সংগঠনের আহ্বায়ক তন্ময় ঘোষ জানিয়েছেন, এদিন জাগরী মঞ্চে আয়োজিত সভায় হাজির ছিলেন জেলার প্রায় ৬৫ জন সাধারণ মানুষ। ব্যাঙ্ক, বীমা যৌথ প্রচার মঞ্চের পক্ষে প্রণব রায় জানিয়েছেন, এর আগে কখনও এই ধরণের উদ্যোগ বর্ধমান জেলায় গ্রহণ করা হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, আশির দশক থেকে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ এই মরণোত্তর দেহদানের বিষয়ে লাগাতার প্রচার করে আসছে। রাজ্যে তথা পশ্চিমবঙ্গে ১৯৯০ সালের ১৮ জানুয়ারী প্রথম কলকাতা মেডিকেল কলেজে মরণোত্তর দেহদান করেন সুকুমার হোম চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, গত একমাস ধরেই তাঁরা এই বিষয়ে প্রচারাভিযান চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এদিন তাঁদের কাছে মরণোত্তর দেহদানের জন্য ৯৪ জন অঙ্গীকারপত্র দিয়েছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});