Headlines
Loading...
ঐতিহ্যশালী গ্রামের রাস্তা নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে জেলাশাসকের দ্বারস্থ গ্রামবাসীরা।

ঐতিহ্যশালী গ্রামের রাস্তা নিয়ে দুর্নীতির প্রতিবাদে জেলাশাসকের দ্বারস্থ গ্রামবাসীরা।

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমান :   হয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে সোনা পলাশী গ্রামের  গ্রামবাসীরা দেখা করে এই অভিযোগ জানালেন।
সোনা পলাশী। বহু বিখ্যাত ব্যক্তির জন্মস্থান এই গ্রাম। তবু আজও উপেক্ষিত এখানকার মানুষ। পরিচালক সত্যজিত রায়ের গোয়েন্দা গল্প ফেলুদা সিরিজের জটায়ু চরিত্রে অভিনয়কারী সন্তোষ দাস কিংবা বিখ্যাত কৌতুক অভিনেতা নবদ্বীপ হালদার থেকে শুরু করে  ১৮৮২ সালে দেশীয় ভাষায় শিক্ষাদান এবং বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে চালু করার মূল কারিগর লালবিহারী দে এই গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। আজও গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তার নাম রেভারেণ্ড লালবিহারী দে সরণী।
সোনা পলাশী গ্রামের বাসিন্দা জ্যোতিপ্রকাশ ব্যানার্জী জানিয়েছেন,এতবড় একটা ঐতিহ্যশালী গ্রাম অথচ বাম আমল থেকেই এখানে উন্নয়নের ছিটে ফোঁটাও পড়েনি।একসময় বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার সাংসদ মমতাজ সংঘমিতাকে অনুরোধ করায় ২০১৪-১৫ আর্থিক বছরে তিনি গ্রামের রাস্তাকে পাকা করার জন্য ২৯ লক্ষ টাকা অনুমোদন করেন। সম্প্রতি সেই রাস্তার কাজও শুরু হয়। কিন্তু গ্রামবাসীরা অবাক হয়ে দেখলেন যেখানে পাকা রাস্তা করার কথা ছিল ১ কিমি ৬০০ মিটার। সেখানে প্রায় ৮০০ মিটার রাস্তার কাজকে নিম্নমানের মাল দিয়ে করেই চলে যান সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার।
আর এরপরেই ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসীরা। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসকের কাছে গ্রামবাসী জ্যোতিপ্রকাশ ব্যানার্জ্জী সহ অন্যান্য গ্রামবাসীরা এব্যাপারে দেখা করে অভিযোগ জানালেন। তাদের অভিযোগ , ২৯ লক্ষ টাকা অনুমোদন হলেও  প্রায় অর্ধেক টাকার কাজ করেই চলে যান ঠিকাদার। ফলে বাকি টাকা নিয়ে তাঁরা বড়সড় দুর্নীতিরও আশংকা করছেন। এব্যাপারে ইতিমধ্যেই সাংসদ মমতাজ সংঘমিতা,বিডিও সহ রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দপ্তর এবং খোদ মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও তাঁরা লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন।
অন্যদিকে,এব্যাপারে জেলাশাসক তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবার আশ্বাস দিয়েছেন। শুধু এটাই নয়, আরও চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছেন জ্যোতিপ্রকাশ বাবুরা। তাঁরা জানিয়েছেন, গ্রামের এই রাস্তার মুখে ফলক লাগিয়ে বলা হয়েছে বর্ধমান ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহায়তায় সাংসদ কোটায় এই ঢালাই রাস্তার কাজ করা হয়েছে। এমনকি খোদ জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটেও এই গ্রামের রাস্তাকে সম্পূর্ণ পাকা রাস্তা করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ বাস্তব অবস্থা এর ঠিক বিপরীত। ,এই ঘটনায় গ্রামবাসীরা প্রায় ৮০০ লোকের স্বাক্ষর নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে চিঠি পাঠিয়ে ঐতিহ্যপূর্ণ গ্রামের এই সমস্যা মেটানোর আবেদনও জানিয়েছেন। জ্যোতিবাবু জানিয়েছেন, বর্ষায় এই রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে যাওয়ায় মোরাম দিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু অনুমোদন হওয়া  পাকা রাস্তার টাকা কোথায় গেল তা  জানতেই আজ   গ্রামবাসীরা জেলাশাসকের কাছে দরবার করছেন ।                  ছবি: সুরজ প্রসাদ।        











(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});