Headlines
Loading...
বর্ধমান শহর জুড়ে তৃণমূল, বিজেপি পার্টি অফিসে হামলা, ভাঙচুর। তীব্র উত্তেজনা শহর জুড়ে

বর্ধমান শহর জুড়ে তৃণমূল, বিজেপি পার্টি অফিসে হামলা, ভাঙচুর। তীব্র উত্তেজনা শহর জুড়ে


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বিধানসভার ভোট এগিয়ে আসতে না আসতেই বর্ধমান শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিজেপি ও তৃণমূল পার্টি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া, ভাঙচুর সহ দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করল গোটা শহর জুড়ে। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত ১২, ১৩ ও ৩৫ নং ওয়ার্ডের বিজেপি ও তৃণমূল পার্টি অফিস পোড়ানো ও ভাঙচুর সহ ৩৫ নং ওয়ার্ডে বিজেপির দেওয়াল লিখন কে কেন্দ্র করেও উত্তেজনা ছড়াল।


শনিবার রাতে কে বা কারা ১২নং ওয়ার্ডের শালবাগান এলাকায় বিজেপির পূর্ব বর্ধমান সদর জেলা কমিটির ৩ নং নগর মন্ডলের পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। অন্যদিকে, ১৩ নং ওয়ার্ডে বেচারহাট এলাকায় তৃণমূলের একটি অফিসে শনিবার রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ভাঙচুর চালায়। তৃণমূলের অভিযোগ বিজেপির দিকে। এই ঘটনার পরই ১৩নং ওয়ার্ডের পাড়ায় পাড়ায় কর্মীদের নজরদারীতে নামিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। 


বিজেপির জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শুভম নিয়োগী জানিয়েছেন, শনিবার রাতে ১২ নং ওয়ার্ডের শালবাগান এলাকায় তাঁদের একটি দলীয় কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের হার্মাদরা। ক্রমশই পায়ের তলায় মাটি সরতে থাকায় তারা এবার নোংরা রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছে। যদিও শুভম নিয়োগী জানিয়েছেন, ১৩ নং ওয়ার্ডে বেচারহাট এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় তাঁদের কোনো কর্মী যুক্ত নন। কারণ এটা বিজেপির সংস্কৃতি নয়। শুভম দাবী করে, তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় তাদেরই দলের গোষ্ঠী কোন্দল কাজ করেছে। 


অপরদিকে, এদিনই ৩৫নং ওয়ার্ডের একটি দেওয়াল লিখনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা বিজেপি কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ করেছেন শুভম। তিনি জানিয়েছেন, এদিন যখন তাঁদের দলীয় সমর্থকরা দেওয়াল লিখন করছিলেন, সেই সময় তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। বিজেপি কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি তাদের মোটরবাইকও ভাঙচুর করা হয়। এই ঘটনায় বর্ধমান থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। 


এদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা যুব সভাপতি রাসবিহারী হালদার জানিয়েছেন, ১৩নং ওয়ার্ডে তাঁদের দলীয় অফিসে গভীর রাতে হামলা চালিয়েছে বিজেপির সমর্থকরা। গত কয়েকদিন ধরেই তাঁরা মোটর বাইক নিয়ে অফিসের সামনে ঘোরাফেরা করছিল। শীতের রাতে অফিসে কেউ না থাকার সময় এই হামলা চালানো হয়েছে। রাসবিহারী পাল্টা জানিয়েছেন, মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে আর তা সহ্য করতে না পেরেই রাতের বেলায় এই হামলা চালাচ্ছে তারা। কারণ দিনের আলোয় তারা বের হতে ভয় পাচ্ছে। রাসবিহারী জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরই তাঁরা গোটা এলাকায় প্রতিটি পাড়ায় তাঁদের যুব কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করে দিন রাত নজরদারী চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 


অন্যদিকে, ১২নং ওয়ার্ডের শালবাগানে বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনায় তৃণমূল নয়, বিজেপির একটি গোষ্ঠীই নিজেরা আগুন লাগিয়েছে বলে দাবি জানিয়েছেন রাসবিহারী। পাশাপাশি ৩৫নং ওয়ার্ডের দেওয়াল লিখন সম্পর্কে রাসবিহারী জানিয়েছেন, ওই দেওয়াল তাঁরা দখল করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের দেওয়াল লিখন মুছে দিয়ে এদিন সকালে বিজেপি দেওয়াল লিখতে গেলে এলাকার মানুষ তাতে বাধা দিয়েছে। এদিকে, এদিন বিজেপির পার্টি অফিসে আগুন লাগানোর ঘটনায় পুলিশ লাইন বাজারে জিটি রোডে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির যুবমোর্চার সদস্যরা। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। এদিকে, বিজেপি ও তৃণমূলের পার্টি অফিস আক্রমণের ঘটনায় গোটা শহর জুড়েই রীতিমত উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। সমস্ত ঘটনারই তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});