Headlines
Loading...
করোনায় কর্মাধক্ষ্যের মৃত্যু ও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদে কঠোর করোনা বলয়

করোনায় কর্মাধক্ষ্যের মৃত্যু ও আক্রান্ত হওয়ার ঘটনার পর পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদে কঠোর করোনা বলয়


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় এবার একগুচ্ছ কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করল পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদ। একের পর এক 
কর্মাধক্ষ্য করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায়, এবং খোদ শিক্ষা কর্মাধক্ষ্য নারায়ণ হাজরা চৌধুরীর মৃত্যুতে একপ্রকার আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জেলা পরিষদের আধিকারিক থেকে কর্মী মহলে। আর তাই সাবধানতা নিতেই সোমবার পুজোর ছুটির পর অফিস খুলতেই করোনা মোকাবিলায় একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ। 


৯ অক্টোবর পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ হাজরা চৌধুরী মারা যাওয়া এবং পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ উত্তম সেনগুপ্ত করোনায় আক্রান্ত হবার পর জেলা পরিষদ জুড়েই রীতিমত আতংক সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া জানিয়েছেন, পরপর জেলা পরিষদের কর্মী, অফিসার সহ কর্মাধ্যক্ষদের করোনায় আক্রান্ত হবার ঘটনায় তাঁরা নতুন করে সাবধানতা অবলম্বন করেছেন। সম্প্রতি জেলা পরিষদের মুখেই বসানো হয়েছে স্যানিটাইজার টানেল। মাঝে মধ্যেই সেই টানেল কাজ করছিল না। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সবসময় তা যাতে চালু থাকে তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


পাশাপাশি খোলা হয়েছে একটি হেল্প ডেস্ক। জেলা পরিষদে যেহেতু প্রতিদিন বহু মানুষ বিভিন্ন প্রয়োজনে আসেন। তাই ভিড় এড়াতে এই হেল্প ডেস্ক খোলা হয়েছে। আগতদের কি প্রয়োজন তা জেনে ডেস্ক থেকেই সরাসরিই সংশ্লিষ্ট দপ্তর বা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলা হবে। সেখানে থেকে অনুমোদন এলে তবে সর্বাধিক ২জনকে ঢুকতে দেওয়া হবে। এক্ষেত্রেও যাতে সাধারণ মানুষকে অযথা হয়রানি বা দাঁড়িয়ে থাকতে না হয় তাই সমস্ত বিভাগকেই ডু ইট নাও ফর্মূলা মানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে দ্রুত কাজ করা হয় সে ব‌্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 


পাশপাশি মাস্ক ছাড়া কোনো ভাবেই জেলা পরিষদে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে কারও মাস্ক না থাকে তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জেলা পরিষদ থেকেই সার্জিক্যাল মাস্ক দেওয়া হবে। এরই পাশাপাশি বিভিন্ন আবেদন সহ কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা পড়ার আগে স্যানিটাইজার স্প্রে মেশিন দিয়ে তা জীবাণুমুক্ত করা হবে। এজন্য প্রতিটি দপ্তরকেই একটি করে স্প্রে মেশিন দেওয়া হচ্ছে। কার্যত নিরাপত্তা বলয়কে রীতিমত আঁটোসাঁটো করে তোলা হয়েছে। খোদ সভাধিপতির চেম্বারে দূরত্ব বজায় রেখেই চেয়ার বসানোর পাশাপাশি লাগানো হয়েছে করোনা রিবন।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});