Headlines
Loading...
বর্ধমানে ২নং জাতীয় সড়কের ধার থেকে উদ্ধার আহত নীলগাই, পাচারের সময় পড়ে যাওয়ার সন্দেহ

বর্ধমানে ২নং জাতীয় সড়কের ধার থেকে উদ্ধার আহত নীলগাই, পাচারের সময় পড়ে যাওয়ার সন্দেহ


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: মঙ্গলবার সকালে বর্ধমান শহরের ২ নং জাতীয় সড়কের ধার থেকে একটি নীলগাই( blue bull ) উদ্ধারকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো। কোথা থেকে কিভাবে বর্ধমানে জাতীয় সড়কের ধারে এই নীলগাই এলো তা নিয়ে জেলা বনদপ্তর এবং পুলিশ পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত শুরু করেছে। আহত নীলগাইকে বর্ধমানের বন বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।


 জানা গেছে, এদিন সকাল প্রায় ৯টা নাগাদ ২নং জাতীয় সড়কের গোদার কাছে রাস্তার ধারে একটি নয়ানজলির পাশে ওই নীলগাইটিকে দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। চাঞ্চল্য ছড়ায়। খবর দেওয়া হয় বনদপ্তর ও পুলিশকে। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন পশুপ্রেমী সংস্থার কর্মীরাও। এরপরই ওই পশুটিকে বন দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জেলা বনাধিকারিক দেবাশীষ শর্মা জানিয়েছেন, নীলগাইটির বয়স প্রায় ৪-৫ বছরের কাছাকাছি হবে। তিনি জানিয়েছেন, নীলগাই বাংলার কোনো পশু নয়।এখানে প্রায় দেখাও যায় না। 


তিনি জানিয়েছেন, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান প্রভৃতি এলাকায় এই নীলগাই দেখতে পাওয়া যায়। তিনি জানিয়েছেন, গাড়ি থেকে পড়ে গিয়ে নীলগাইটি আহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তার চিকিৎসা চালানো হচ্ছে। কোমড় ও পায়ে চোট রয়েছে। শরীরে জ্বর রয়েছে।ওই নীলগাইটিকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তা তদন্ত করে দেখার জন্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অনেক সময় সুন্দরবনে চাষের জন্য নীলগাই নিয়ে যাওয়া হয়। এক্ষেত্রেও তেমনটি হচ্ছিল কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, গাড়িতে গোপনে এই নীলগাই পাচার হচ্ছিল বলে মনে করছেন এলাকার বাসিন্দারা।


তাঁরা বলছেন, নীলগাইটির দাঁড়ানোর ক্ষমতা ছিল না। কোমর ও পায়ে চোট রয়েছে। গাড়ি থেকে পড়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের দাবি, ট্রাকে করে পাচারের সময় তা পড়ে গিয়ে থাকতে পারে। দেবাশীষবাবু জানিয়েছেন, পশুটির গায়ে জ্বর রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গাড়ি থেকে আদৌ পড়ে গেছে, নাকি তাকে ফেলে দেওয়া হয়েছে তা দেখা হচ্ছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি বর্ধমানের খণ্ডঘোষে কৃষিজমিতে একটি নীলগাই পাওয়া গিয়েছিল। চিকিৎসা করেও তাকে বাঁচানোর যায়নি।


(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});