Headlines
Loading...
জেলাজুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, বোমাবাজি, সংঘর্ষে উত্তপ্ত বর্ধমান শহর ও গলসি

জেলাজুড়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে, বোমাবাজি, সংঘর্ষে উত্তপ্ত বর্ধমান শহর ও গলসি


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: সারদোৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষ মাথাচাড়া দিয়ে উঠল জেলাজুড়ে। মারধর, ভাঙচুর, বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বর্ধমান শহর এবং গলসী এলাকা। বৃহস্পতিবার বর্ধমান শহরের ৩নং ওয়ার্ডের রসিকপুর এলাকায় তৃণমূলের পার্টি অফিস দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজিতে অশান্ত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকা। 
ঘটনার পর পুলিশ রসিকপুর চিলড্রেন্স পার্ক থেকে চারটি তাজা বোমা ও বোমা তৈরির প্রচুর মশলা ও সরঞ্জামও উদ্ধার করে। শুত্রুবার সেইসমস্ত বোমা সিআইডি-র বোম্ব ডিসপোযাল স্কোয়াডের অফিসারেরা দামোদরের চড়ে নিয়ে গিয়ে নিষ্ক্রিয় করে। আর এই ঘটনার ঠিক পরেরদিন অর্থাৎ শুত্রুবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গলসীর সিংপুর গ্রামে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটল। 


অভিযোগ, শ্রমিক সংগঠনের রাশ কার হাতে থাকবে তাকে কেন্দ্র করেই এদিন ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনা ঘটে গলসী ১ নং ব্লকের সিংপুর গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গলসী থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বোমাবাজি ও সংঘর্ষে যুক্ত থাকার অভিযোগে বেশকয়েক জনকে আটক করেছে গলসী থানার পুলিশ। 


এলাকা সূত্রে জানা গেছে, সিংপুর গ্রামের ভাসাপুল এলাকায় একটি রাইসমিলের বোনাস নিয়ে কয়েকদিন ধরেই মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের টানাপোড়েন চলছিল। এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি জাকির হোসেনের অনুগামী হাসু মন্ডল গোষ্ঠী। পাশাপাশি হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করে ব্লকের যুব সভাপতি পার্থমন্ডলের অনুগামী বকুল সেখ। এরপরই শ্রমিক সংগঠনের রাশ কার হাতে থাকবে সেই নিয়ে শুরু হয় উত্তেজনা। শুক্রবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় গোষ্ঠী সংঘর্ষ। দুপক্ষের বিরুদ্ধেই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি করারা অভিযোগ উঠেছে। 
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ পিকেট। 


অন্যদিকে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্ধে রীতিমত চাপা উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বর্ধমান শহরের ষ্টেশন সহ মেহেদিবাগান এলাকায়। জানা গেছে, সম্প্রতি একটি গোষ্ঠীর দুই নেতা অপর একটি গোষ্ঠীর সঙ্গে গোপন বৈঠক করেন। এই অভিযোগে ওই দুই নেতাকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই গোটা এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আশংকা করা হয়েছে যে কোনো মুহূর্তেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিতে পারে বর্ধমান ষ্টেশন এলাকা সহ মেহেদীবাগান এলাকা।


এই ঘটনায় এদিন বিজেপির কিষাণ মোর্চার জেলা সভাপতি দেবাশীষ সরকার জানিয়েছেন, তৃণমূল কংগ্রেস যে ক্রমশই বোমা কালচারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে এটা তারই নমুনা। আগামীদিনে গোটা বর্ধমানকে আরও বোমাবাজি উপহার দেবে তৃণমূল। বর্ধমানের মানুষ সবই দেখছেন। তিনি জানিয়েছেন, এদিনই তাঁরা বর্ধমান থানায় গোটা শহর জুড়েই তৃণমূল যে বোমা, আগ্নেয়াস্ত্র মজুদ করেছে তা উদ্ধারের জন্য তাঁরা স্মারকলিপি দিয়েছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});