Headlines
Loading...
গত ৭বছরেও গ্রামের রাস্তা তৈরি করেনি পঞ্চায়েত, বাধ্য হয়ে চাঁদা তুলে কাজ শুরু করলো গ্রামবাসীরা

গত ৭বছরেও গ্রামের রাস্তা তৈরি করেনি পঞ্চায়েত, বাধ্য হয়ে চাঁদা তুলে কাজ শুরু করলো গ্রামবাসীরা


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,ভাতার: শেষ ২০১০ সালে রাস্তার কাজ হয়েছিল। তারপর থেকে বিগত দশ বছরে সেই রাস্তার দিকে কেউই তাকায়নি। ফলে চরম বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে গ্রামে ঢোকার মূল রাস্তা। পঞ্চায়েত কে রাস্তা মেরামতের জন্য বহুবার বললেও আজও কোনো সুরাহা হয়নি। এরমধ্যে শুরু হয়েছে বর্ষা। যাতায়াত করাই দায় হয়ে পড়েছে গ্রামবাসীদের। তাই বাধ্য হয়ে গ্রামবাসীরাই নিজেদের টাকায় রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করে দিলো।


পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতার পঞ্চায়েতের বেলডাঙ্গা গ্রামে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার হাল বেহাল। গ্রামবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন, দীর্ঘ ৭ বছর ধরে বেলডাঙ্গা গ্রামে ১০০ দিনের কোনো কাজ হয়নি। ২০১৩ সালে মাত্র ১৪ দিন কাজ হয়েছিল, তাও ১০০ দিন হয়নি। এবছর বর্ষা আগেই শুরু হয়েছে। তাঁরা ভেবেছিলেন হয়তো এবার গ্রামের রাস্তা তৈরি হবে। কিন্তু পঞ্চায়েত পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে নতুন করে রাস্তার অনুমোদন না আসা পর্যন্ত তাদের কিছু করার নেই। তাই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপর আস্থা হারিয়ে নিজেরাই চাঁদা তুলে রাস্তা সংস্কারে এগিয়ে এসেছেন গ্রামেরই বাসিন্দারা। নিজেরাই শ্রম দিয়ে তৈরি করছেন রাস্তা।


গ্রামের বাসিন্দা ছোট্টু প্রামানিক জানিয়েছেন, তাঁরা গ্রামের রাস্তার বিষয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত ,ব্লক অফিস ও বিধায়ক সুভাস মন্ডল কে বারবার জানিয়েছিলেন। তবু কোনো ফল হয়নি। তাই অবশেষে না থাকতে পেরে নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করতে শুরু করেছেন। গ্রামবাসীরাই পরিবার পিছু ৫০০টাকা করে চাঁদা দিয়েছেন। ছোট্টু প্রামানিক জানিয়েছেন, ২০১০ সালে একবার রাস্তায় মোরাম দেয়া হয়েছিল, তারপর থেকে আর গ্রামের রাস্তার কোন কাজ হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, এর আগেও তাঁরা সংবাদমাধ্যমে দেখেছিলেন ভাতার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় নিজেদের উদ্যোগে কাজ হচ্ছে। তাই গ্রামের মানুষজন ঠিক করে তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে রাস্তা সংস্কার করবে পঞ্চায়েতের উপর ভরসা না রেখে।


গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান পরেশ চক্রবর্তী জানান, ওই গ্রামের রাস্তাটির অবস্থা খুবই খারাপ শুনেছি। কিন্তু গ্রামের মানুষজন ও পঞ্চায়েত সদস্য আমাকে বলেছিল গ্রামের মাঠ যাওয়ার জন্য তাদের একটি ব্রিজ করে দিতে হবে। তাই ব্রিজ তৈরির জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে জেলা পরিষদে। কিন্তু পরবর্তীতে গ্রামের মানুষজন বলে গ্রামের রাস্তা সংস্কার করতে হবে, কিন্তু নতুন করে কোন স্কিম না এলে গ্রামের রাস্তা করা যাবে না।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});