Headlines
Loading...
বাজারে চীনা খেলনার আমদানি কমতেই দেশীয় খেলনার চাহিদা তুঙ্গে

বাজারে চীনা খেলনার আমদানি কমতেই দেশীয় খেলনার চাহিদা তুঙ্গে


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: চীন-ভারত যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি হতেই চীনা অ্যাপস নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। একইসঙ্গে ভারতবর্ষের কোনো কাজের ক্ষেত্রেই চীনের কোনো সংস্থা যাতে টেণ্ডার না পায় সে ব্যাপারেও উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র সরকার। আর চীন ভারত যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি হতে না হতেই বাজারে চীনা খেলনার পরিবর্তে দেশীয় খেলনার চাহিদা তুঙ্গে উঠতে শুরু করেছে। বিশেষত, কুটিরশিল্প হিসাবে পরিচিত ছোট ছোট খেলনার কদর রাতারাতি বেড়ে যাওয়ায় এখন খুশির হাওয়া খেলনার কুটিরশিল্পে। বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নান্দুড় এলাকায় এখন এক মহিলা গোষ্ঠীর রাতের ঘুম উবে যাবার উপক্রম হয়েছে।


নান্দুড় এলাকায় দেবশিশু ওয়েলফেয়ার সোসাইটির উদ্যোগে সমাজের পিছিয়ে পড়া মহিলাদের একত্রিত করে তৈরী করা হচ্ছে নানারকমের খেলনা। কলকাতার একটি খেলনা প্রস্তুতকারী সংস্থা বর্ধমানের এই মহিলাদের দিয়ে তাঁদের চাহিদা মত খেলনা তৈরী করাচ্ছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ এই মহিলাদের পাঠিয়ে দিচ্ছেন খেলনার নানাবিধ অংশ। আর সেই অংশ জুড়ে মহিলারা তৈরী করে তা প্যাকেটজাত করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন কারখানা কর্তৃপক্ষের কাছে। 


দেবশিশু ওয়েলফেয়ার সংস্থার সম্পাদক সবিতাব্রত হাটি জানিয়েছেন, নান্দুড় সন্নিহিত এলাকার কিছু মহিলা যাঁরা কার্যত সমাজ থেকে নানাকারণে লাঞ্ছিত বা অত্যাচারিত হয়েছেন কিংবা আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়েছিলেন সেই সমস্ত মহিলাদের নিয়ে একটি গ্রুপ তৈরী করেছেন। যাঁর নেতৃত্বে রয়েছেন রাসমণি মালিক। এই রাসমণিকেই একসময় ডাইনি আখ্যা দিয়ে তাঁর ওপর লাগাতার অত্যাচারও চালানো হয়েছিল। আজ সেই রাসমণি মালিকের হাত ধরেই স্বরোজগারের রাস্তা দেখছেন নয়নয় করেও ১২ থেকে ১৩জন মহিলা। শুধু তাইই নয়, নতুন করে আরও অনেক মহিলারা এগিয়ে আসছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণও দিচ্ছেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁদের কাজও দিচ্ছেন। 


রাসমণি মালিক জানিয়েছেন, খেলনা তৈরী পিছু ৭৫ পয়সা করে পান তাঁরা। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারত-চীন যুদ্ধের আবহে বাজারে চীনা খেলনার কদর কমে যাওয়ায় দেশীয় খেলনার চাহিদা বাড়ছে। যা তাঁদের কাছে অত্যন্ত আশার আলো দেখাচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এই চীনা খেলনার কদর কমার ফলে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের দিয়ে বেশি বেশি খেলনা তৈরী করাচ্ছেন। এরফলে তাঁদের রোজগারও ভাল হবার সুযোগ তৈরী হচ্ছে। এখন এক একজন মহিলা সারাদিনে ১৫০-রও বেশি খেলনা তৈরী করতে পারছেন। 

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});