Headlines
Loading...
বর্ধমান মেডিকেল কলেজের মর্গের এসি মেশিন খারাপ, পচন ধরছে মৃতদেহে, বরফ কেনার টাকা জোগাচ্ছে রোগিপক্ষ!

বর্ধমান মেডিকেল কলেজের মর্গের এসি মেশিন খারাপ, পচন ধরছে মৃতদেহে, বরফ কেনার টাকা জোগাচ্ছে রোগিপক্ষ!


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গের এয়ার কণ্ডিশন ব্যবস্থা প্রায় এক মাস খারাপ। পচন ধরছে মৃতদেহে। আর তাই মৃতদেহ কে ঠিক রাখতে রোগীপক্ষের লোকের কাছ থেকে গড়ে ২ থেকে ৩ কুইণ্টাল বরফ কেনার জন্য নেওয়া হচ্ছে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বলে অভিযোগ।
আর এই ঘটনাকে ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


জানা গেছে, বর্ধমান মেডিকেল কলেজের যে পুলিশ মর্গ রয়েছে সেখানেই রয়েছে কুলিং চেম্বার। যেখানে মৃতদেহ ড্রয়ারে রেখে দেওয়া হয়। কিন্তু প্রায় মাসখানেক ধরেই এসি মেশিন খারাপ থাকায় এখন অনেক মৃতদেহেই পচন শুরু হচ্ছে। আর মৃতদেহকে অবিকৃত রাখতে এখন খোদ রোগীপক্ষের কাছ থেকেই আদায় করা হচ্ছে বরফ কেনার টাকা। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্কও দেখা দিয়েছে। উল্লেখ্য, করোনা আবহের জেরে চলতি সময়ে মর্গে অনেক মৃতদেহকেই মজুদ রাখতে হচ্ছে। যাঁরা মারা যাচ্ছেন তাঁদের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত এই মর্গেই রাখতে হচ্ছে। কিন্তু এসি মেশিন খারাপ থাকায় সেই মরদেহতেও দেখা দিচ্ছে বিকৃতি।


অথচ মর্গের এসি মেশিন যে খারাপ সে বিষয়ে জানেন মেডিকেল কলেজের উর্ধতন কর্তৃপক্ষও। কিন্তু তা সত্ত্বেও এখনও এসি মেশিন ঠিক হয়নি। সোনারকুরি এলাকার বাসিন্দা রুপালি হাওলাদার জানিয়েছেন, তাঁদের এক আত্মীয়ের মৃত্যুর পর গত কয়েকদিন ধরেই মৃতদেহকে মর্গে রেখে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা গরীব মানুষ। এখন তাঁদের কাছ থেকে মৃতদেহ রাখার জন্য বরফ কেনার টাকা চাওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন নাকি ২ থেকে আড়াই কুইন্টাল বরফ লাগবে বলেছে। কিন্তু এই টাকা তাঁরা কোথায় পাবেন? 


একই কথা বলেছেন শিশির রায়। তিনিও জানিয়েছেন, তাঁদের একজন মারা যাওয়ায় তাঁর মৃতদেহ ঠিক রাখতে প্রতিদিন হাজার দুয়েক টাকার বরফ কিনে দিতে হচ্ছে। বলা হচ্ছে, এসি মেশিন নাকি খারাপ। এদিকে, এসি মেশিন যে খারাপ তা স্বীকার করেছেন মর্গের কর্মীরাও। তাঁরাও জানিয়েছেন, প্রায় মাসখানেক ধরেই মর্গের এসি মেশিন খারাপ। তাই বাধ্য হয়েই বরফ কিনে মৃতদেহ ঠিক রাখতে হচ্ছে। আর এই বরফ কেনার টাকা জোগাতে হচ্ছে মৃতদেহ আত্মীয়দেরই। 


এব্যাপারে খোদ বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষা সুহৃতা পাল জানিয়েছেন, মর্গের এসি মেশিন খারাপ হয়েছিল এবং সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট পূর্ত দপ্তরকে জানানোও হয়েছিল। কিন্তু এর বেশি তিনি কিছু জানেন না। এসি মেশিন এখনও খারাপ আছে বলে তাঁর কিছু জানা নেই। এব্যাপারে মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান বলতে পারবেন। 

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});