Headlines
Loading...
বর্ধমানে ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজ করোনায় আক্রান্ত, আতংক

বর্ধমানে ভারত সেবাশ্রম সংঘের মহারাজ করোনায় আক্রান্ত, আতংক



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, বর্ধমান: বর্ধমানের ছোটনীলপুর এলাকার ভারত সেবাশ্রম সংঘের এক মহারাজ করোনোয় আক্রান্ত হওয়ার খবরে তীব্র আতংক ছড়িয়ে পড়েছে গোটা শহর জুড়ে। আশ্রম সূত্রে জানা গেছে, ওই মহারাজ আশ্রমের যাবতীয় কালেকশনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। কালেকশনের প্রয়োজনে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত ছাড়াও সম্প্রতি তিনি ভাতারের আশ্রমেও গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, এই আশ্রমে সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের ভারত সেবাশ্রম সংঘ থেকে তিনজন এসেছিলেন। এরই পাশাপাশি আশ্রমের কালেকশানের কাজে তিনি অনেক জায়গাতেই গেছেন। ফলে কিভাবে তিনি আক্রান্ত হলেন তা নিয়ে এখনও কেউ পরিষ্কার করে বলতে পারেননি। 

ads1

আশ্রম সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে এই আশ্রমে এখনও আবাসিক ছাত্র সহ প্রায় ২০-২২জন রয়েছেন। তাঁদের প্রত্যেককেই আশ্রম ছেড়ে বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরেই ওই মহারাজ অসুস্থতা বোধ করছিলেন। সোমবারই তাঁর সোয়াব টেষ্ট করা হয়। এরপর মঙ্গলবার সকালে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে বর্ধমান থানার পুলিশ এদিনই আশ্রম এলাকা সিল করে দিয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্মীরা এবং পুলিশ কর্মীরা গোটা এলাকা ঘুরে দেখেন। এদিন দুপুর থেকেই আশ্রম সংলগ্ন দোকানগুলিকে বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশপাশের বাড়ির লোকজনদের বাড়ি থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। আশ্রমের গেট বন্ধ করা হয়েছে। আশ্রমের সামনের রাস্তায় চলাচলের ক্ষেত্রেও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। 

ads2

এদিকে, এদিন সকালেই ওই মহারাজের রিপোর্ট পজিটিভ এলেও তাঁকে দুর্গাপুরের শনকা কোভিড হাসপাতালে পাঠাতে বিকাল গড়িয়ে যাওয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেন এত দেরী করে এ্যাম্বুলেন্স এল তা নিয়েও সরব হয়েছেন এলাকার মানুষজন। যদিও এব্যাপারে স্বাস্থ্য দপ্তর বা প্রশাসনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

ads3

অপরদিকে, জানা গেছে, যেহেতু ওই মহারাজ আশ্রম পরিচালনার জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন রকম কালেকশানের দায়িত্বে ছিলেন তাই এই অবস্থায় তিনি কোথায় কোথায় গেছেন তা জানার চেষ্টা করছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। উল্লেখ্য, সোমবার পর্যন্ত পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১৩৯জন। তার মধ্যে সোমবারই আক্রান্ত হন ১৪জন। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১২৫জন।

ads4
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});