Headlines
Loading...
আদিবাসীদের উৎসব হুল উৎসবেই আমন্ত্রণ পেলেন না আদিবাসীরা, বিজ্ঞাপনে নাম নেই সভাধিপতির

আদিবাসীদের উৎসব হুল উৎসবেই আমন্ত্রণ পেলেন না আদিবাসীরা, বিজ্ঞাপনে নাম নেই সভাধিপতির



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ১৬৫তম হুল দিবসে রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপনে নাম নেই পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতির। আর এই ঘটনায় ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে জেলা পরিষদের অন্দরে। মঙ্গল ও বুধবার দুদিন ব্যাপী বর্ধমানের রাইপুর কাশিয়াড়ায় শুরু হল হুল উৎসব। গোটা রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় জেলায় পালিত হচ্ছে এই উৎসব। মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কয়েকটি দৈনিক সংবাদপত্রে এব্যাপারে একটি বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। আর ওই বিজ্ঞাপনেই পূর্ব বর্ধমান জেলায় হুল উৎসবের উদ্বোধক হিসাবে রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ এবং পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি দেবু টুডুর নাম থাকলেও নাম নেই খোদ সভাধিপতি শম্পা ধাড়ার। যা নিয়ে রীতিমত আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

যদিও এব্যাপারে সভাধিপতি শম্পা ধাড়াকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানিয়েছেন, এব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না। খোঁজ নিয়ে দেখবেন। তবে নাম না থাকলেও তিনি এদিন হুল উৎসব উপলক্ষ্যে বর্ধমান কোর্ট কম্পাউণ্ডে সিধু কানহুর মূর্তিতে মাল্যদান অনুষ্ঠান এবং রাইপুর কাশিয়াড়ায় অনুষ্ঠিত জেলার কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেন। এদিন ১৬৫ তম হুল দিবসে গোটা রাজ্যের আদিবাসী মানুষদের হাতে সস্তায় শাড়ি তুলে দিতে এলাকায় এলাকায় কাউন্টার খোলার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মঙ্গলবার বর্ধমান শহরের কোর্ট কম্পাউন্ডে সিধু কানহুর মুর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর এই ঘোষনা করেছেন তিনি। 

স্বপনবাবু জানিয়েছেন, পুর্ব বর্ধমানের আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় প্রথম ধাপে ৪টি কাউণ্টার খোলা হবে। এরপর গোটা রাজ্যেই এই কাউন্টার খোলা হবে। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের অধীনস্থ সংস্থা তন্তুজের উদ্যোগে এই ধরণের সস্তার শাড়ি বিক্রির কাউন্টার আগেই রয়েছে। এবার আদিবাসী এলাকায় এই কাউন্টার খোলা হবে। তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আগ্রহে এই শাড়ি পিছু ৯৯ টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার। স্বপনবাবু জানিয়েছেন, এই কাউন্টার থেকে শুধু যে আদিবাসীরা সস্তায় এই শাড়ি কিনতে পারবেন তাইই নয়, উচ্চ আয়ের মানুষরাও এই সুযোগ পাবেন।


তিনি জানিয়েছেন, এই শাড়ির দাম ১০৬ টাকা। তার সঙ্গে যুক্ত হবে জিএসটি। আপাতত পুর্ব বর্ধমান জেলা থেকেই এই কাউণ্টার খোলা শুরু হচ্ছে। বর্ধমানের আউশগ্রাম, মেমারী, দক্ষিণ দামোদর এবং পুর্বস্থলী এলাকায় এই কাউণ্টার খোলা হচ্ছে। আস্তে আস্তে তা অন্যান্য জেলাতেও চালু হবে। তবে সবই হবে আদিবাসী এলাকায়। অপরদিকে, আদিবাসীদের জন্যই এই হুল দিবসের অনুষ্ঠানে হলেও এদিন কাশিয়াড়া দীঘিরপাড় এলাকার আদিবাসীরাই এই অনুষ্ঠানে ডাক না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন। আদিবাসী দীঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা শেফালী সোরেন জানিয়েছেন, তাঁদের এলাকায় এবছরের হুল উৎসব হচ্ছে। অথচ তাঁরাই ডাক পাননি।

তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আদিবাসী নৃত্যও করেন। তাঁদের একটি দলও রয়েছে। কিন্তু এই অনুষ্ঠানে তাঁদের দলের ম্যানেজারকেই আমন্ত্রণ জানানোই হয়নি। শেফালীদেবী এদিন অভিযোগ করেছেন, জেলাশাসক এই উৎসবের জন্য এতটাকা খরচ করছেন, অথচ তাঁদের ডাকাই হল না। আর তাই তাঁরা এদিন অভিযোগ জানিয়েছেন, বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিকের কাছে। বিধায়ক এব্যাপারে আলোচনা করার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তাঁদের। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});