Headlines
Loading...
বর্ধমানে শুত্রুবার থেকে শর্তসাপেক্ষে খুলে যাচ্ছে বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান

বর্ধমানে শুত্রুবার থেকে শর্তসাপেক্ষে খুলে যাচ্ছে বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: লকডাউনের মধ্যেই আগামীকাল অর্থাৎ শুত্রুবার থেকে খুলে যাচ্ছে বর্ধমান শহরের বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বর্ধমান থানার পুলিশ আধিকারিকদের বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির উন্নয়ন সম্পাদক বিশ্বেশ্বর চৌধুরী। 

তিনি জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির জন্য গত ২৫ মার্চ থেকে টানা তিনদফায় লকডাউন চলছে। ১৭ মে পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা আছে। তবে এরই মধ্যে সরকার গ্রীন ও অরেঞ্জ জোনে নিত্যপ্রয়োজনীয় এবং অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়াও বেশ কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে শর্ত সাপেক্ষে। তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। 

আক্রান্তরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। আর এরপরেই ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালানো হয়। বৃহস্পতিবার বর্ধমান সদর থানায় পুলিশ আধিকারিক দের সঙ্গেও বৈঠক হয়। আর সেখানেই সিদ্ধান্ত জানানো হয় শুত্রুবার থেকে শহরের দোকানপাট খুলবে। কিন্তু দোকান খুললেও লকডাউনের নিয়ম মেনে একাধিক শর্ত পালন করতে হবে দোকানদারদের।

বর্ধমান থানার আই সি পিন্টু সাহা জানিয়েছেন, প্রশাসনের নির্দেশে বর্ধমান শহরের কিছু দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত ব্যবসায়ীদের মেনে চলতে হবে বলেও জানানো হয়েছে। শর্তগুলো হল - দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই সমস্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। দোকানের ভিতরে কর্মরত সকলকে এবং দোকানে আসা গ্রাহকদের প্রত্যেকের মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক থাকতে হবে। স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে ব্যবসা করতে হবে। সরকারি নির্দেশাবলী দোকানের বাইরে লাগিয়ে রাখতে হবে ইত্যাদি। 

বিশ্বেশ্বর চৌধুরী জানিয়েছেন, শাড়ি, পাঞ্জাবি, জুতো, সোনা রুপোর দোকান সহ অন্যান্য দ্রব্যের কিছু দোকান খোলার অনুমতি দিলেও শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স, সেলুন ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। যদিও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ীরা ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে দোকানের বাইরে থেকে অর্ডার দেওয়া খাদ্যদ্রব্য গ্রাহককে নিয়ে যেতে হবে। ভিতরে বসে খাওয়ানোর কোনো ব্যবস্থা এই মুহূর্তে করা যাবে না। তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের এই সময়ে ব্যবসায়ীদের চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। তাই ঈদের আগে প্রশাসনের দোকান খোলার এই সিদ্ধান্তে খুশির হওয়া ব্যবসায়ী মহলে।  
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});