Headlines
Loading...
বর্ধমানে শুত্রুবার থেকে দোকানপাট খোলার পরেই নিয়মের জটিলতায় শনিবার ফের বন্ধ, বিতর্ক

বর্ধমানে শুত্রুবার থেকে দোকানপাট খোলার পরেই নিয়মের জটিলতায় শনিবার ফের বন্ধ, বিতর্ক


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: চলতি সপ্তাহের শুত্রুবারই জেলাশাসকের নির্দেশে, বর্ধমান থানার নজরদারিতে খুলে গিয়েছিল বর্ধমান শহরে বেশকিছু পণ্যের দোকান। আর শনিবার ফের সেই দোকানগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ হয়ে গেল শর্তের জটিলতায়। উল্লেখ্য, বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির সঙ্গে জেলা পুলিশের কয়েকদফা আলোচনার পর প্রশাসনের নির্দেশে কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছিল বর্ধমান শহরের বেশ কিছু দোকানপাট।
উল্ল্যেখ ছিল কোনো শপিং মল, মার্কেট কমপ্লেক্স, সেলুন সহ আরও কিছু পণ্যের দোকান এখনই খোলা যাবে না। 

দোকান খোলার জন্য যে যে শর্ত আরোপ করা হয়েছিল তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল - দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা যাবে। দোকানের কর্মচারী এবং গ্রাহকদের প্রত্যেককে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। দোকানে ঢোকার আগে গ্রাহকের হাতে স্যানিটাইজার দিতে হবে। দোকান কেও স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে ব্যবসা করতে হবে। সর্বোপরি পরপর তিনটি দোকান থাকলে যেকোনো একটি দোকান যেদিন খুলবে তারপরের দিন সেই দোকান বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ পরের দিন আবার অন্য দোকান খুলবে। অর্থাৎ পরপর তিনদিন একটি করে দোকান খুলতে পারবে।

আর এই নিয়মের জটিলতাতেই শনিবার সমস্যা তৈরি হল বর্ধমান শহরের কার্জন গেট থেকে রানীগঞ্জ বাজার পর্যন্ত বেশকিছু ব্যবসায়ীদের। এমনকি এই নির্দেশ না মানার জন্য বর্ধমান থানার পুলিশ সেইসব দোকান বন্ধও করে দেয়। আর এরপরেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে প্রশাসনিক নিয়মবিধি নিয়ে। বিসি রোডের একাধিক দোকানদার অভিযোগ করেছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের তালিকায় থাকার দরুন বিসি রোডে লকডাউনের মধ্যেই চালু থাকা ফলের দোকান থেকে শুরু করে তেঁতুলতলা সবজি বাজার বা মাছ বাজারে লাগাতার প্রচুর মানুষ সামাজিক দূরত্ব কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে প্রতিদিন ভিড় করে ফল, সবজি কিনতে এসেছে, এবং আসছেনও। 

মাঝেমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হলেও ভিড়ের বহর কিন্তু কমেনি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এদিকে লকডাউন শিথিল হতেই যখন কিছু দোকানপাট খোলার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন, অমনি নিয়মের দোহাই দিয়ে সেগুলো বন্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে পুলিশ প্রশাসন। তাঁদের অভিযোগ, যদি নিয়ম ভঙ্গের প্রশ্ন হয় তাহলে ফল বা সবজির দোকানে প্রতিদিন যে হারে মানুষ ভিড় জমান তার দিকে আরো বেশি নজর দেওয়া উচিত।

ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতির পক্ষে বিশ্বেশ্বর চৌধুরী জানিয়েছেন, থ্রী ইজ টু ওয়ান ফর্মুলার নিয়ম এখনই সব ব্যবসায়ী বুঝে উঠতে পারেননি। রবিবার ব্যবসায়ীদের নিয়ে ফের বৈঠক করা হবে। তারপর পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে দোকান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। তবে শুত্রুবার তিনি জানিয়েছেন, কিছু দোকানদার এদিন দোকান  খুললেও বিক্রিবাটা সেরকম কিছুই হয়নি। তার মানে খদ্দেরের ভিড়ও ছিলোনা সেভাবে। তিনি জানান, আগামী সোমবার জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে স্মারকলিপিও প্রদান করা হবে।  
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});