Headlines
Loading...
গলসি ব্লকে প্রতিদিন শ'য়ে শ'য়ে ঢুকছে বহিরাগত বালির গাড়ি, করোনা সংক্রমণের আশংকায় ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামবাসীদের

গলসি ব্লকে প্রতিদিন শ'য়ে শ'য়ে ঢুকছে বহিরাগত বালির গাড়ি, করোনা সংক্রমণের আশংকায় ক্ষোভ বাড়ছে গ্রামবাসীদের


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,গলসি: লকডাউন একপ্রকার লাটে তুলে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। যদিও কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নির্দেশ রয়েছে আগামী ৩১মে পর্যন্ত রাজ্যে চতুর্থ দফার লকডাউন বহাল থাকবে। তবু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই নিয়মবিধি মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠে আসছে। এরই মধ্যে দেশের অতি সংক্রমিত পাঁচ রাজ্য থেকে শ'য়ে শ'য়ে ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। আর এরপরই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় জেলায় হু হু করে বেড়েই চলেছে। দিশেহারা অবস্থা জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। কেবল পূর্ব বর্ধমান জেলায় গত সাত দিনে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন হয়েছেন প্রায় ৫০ জন। এবার গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দেখা দিচ্ছে নতুন সমস্যা বহিরাগত বালির গাড়ি।

প্রশাসনের নির্দেশে গত ৯মে পূর্ব বর্ধমান জেলার সমস্ত বৈধ বালি খাদান একাধিক শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লকডাউনের যাবতীয় নিয়মবিধি মেনে বালি খাদান থেকে বালি তোলা যাবে। কোনো কন্টেনমেন্ট এলাকা বা রেড জোন থেকে গাড়ি আসবে না এবং যাবে না। কেবলমাত্র বালি ঘাট থেকে নির্মাণ কাজ হচ্ছে সেই স্থান পর্যন্ত বালির গাড়ি যাতায়াত করবে। উল্লেখ্য এখনো এই নিয়মই জেলায় বলবৎ রয়েছে বলে জানিয়েছেন খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি রাজস্ব) শশীভূষণ চৌধুরী।


কিন্তু এরই মধ্যে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লক, গলসি ব্লকের বালি খাদানগুলোতে কলকাতা সহ অন্যান্য জেলা থেকে প্রতিদিন কয়েকশো বালির লরি আসা যাওয়া করছে। করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে এই আশংকায় ইতিমধ্যে খণ্ডঘোষে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভে সমস্ত বালি খাদান থেকে বালি তোলা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন খাদান মালিকরা। কিন্তু গলসি ব্লকের লোয়া রামগোপালপুর, শিল্ল্যা এলাকার বালি খাদানগুলোতে প্রতিদিন কয়েকশো বহিরাগত গাড়ি আসা যাওয়া করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। 

প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে বাইরের গাড়ি এই এলাকায় আসা যাওয়া করার ফলে করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে এই আশংকায় তীব্র ক্ষোভেরও সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় গ্রামগুলোতে। এছাড়াও প্রশাসনের নজরদারির অভাবে অবৈধ বালি খাদান গুলো থেকে প্রতিদিন যেভাবে বালি পাচার চলছে, তাতে কয়েকশো কোটি টাকার রাজস্ব লোকসান হচ্ছে সরকারের বলেও অভিযোগ। এমনকি বালি মজুদ করা যাবে না - প্রশাসনের এই নির্দেশ জারি থাকলেও অনেক ক্ষেত্রেই স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে চালান সহ বালি মজুদ করার অনুমতি দিচ্ছে। 

এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার গলসির গোহগ্রাম এলাকায় বহিরাগত বালির গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না - এর প্রতিবাদে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায় গ্রামের মহিলা থেকে পুরুষরা। আর এর পরেই বাধ্য হয়ে সমস্ত গাড়িকে ফিরিয়ে দিতে হয় ঘাট মালিকদের। কিন্তু এরপরেও পুলিশ ও প্রশাসনের উদাসীনতায় লোয়া রামগোপালপুর, শিল্ল্যা প্রভৃতি এলাকার বালি খাদান গুলোতে প্রতিদিন কয়েকশ বহিরাগত বালির গাড়ি আসা যাওয়া করায় ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে স্থানীয় গ্রামগুলোতে। 

অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি রাজস্ব) শশীভূষণ চৌধুরী জানিয়েছেন, বাইরের কোনো গাড়ি লকডাউন চলাকালীন এলাকায় ঢুকতে পারবে না এই নিয়ম আগে থেকেই জারি করা হয়েছিল। এরপরেও যদি এই ধরণের কোন ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});