Headlines
Loading...
পূর্ব বর্ধমানে আরো একজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেল

পূর্ব বর্ধমানে আরো একজনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেল


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে পূর্ব বর্ধমান জেলায় আরও এক রোগীনীর শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেল। কেতুগ্রামের বাসিন্দা ওই মহিলা কলকাতায় কর্মরত ছিলেন। সেখানেই তাঁর সোয়াব টেষ্ট হয়। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। সোমবার রাতে তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই তাঁকে দুর্গাপুরের সনকা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একইসঙ্গে পরিবারের লোকজনদেরও সোমবার রাতেই বর্ধমানের ক্যামরি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গোটা এলাকাকে কন্টেনমেণ্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। 

এদিকে, মঙ্গলবার থেকেই বাইরের রাজ্য থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ঢুকতে শুরু করে দিয়েছেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, বাঁকুড়া হয়ে এবং যে সমস্ত শ্রমিকরা ট্রেনের মাধ্যমে দুর্গাপুরে নামছেন তাঁদের বর্ধমানের নবাবহাটে ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। উপসর্গ পেলেই তাঁদের কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টারে পাঠানো হবে। অন্যথায় তাঁদের বাড়ি পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হবে। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই তাঁরা খবর পেয়েছেন বহু শ্রমিক হেঁটে ২নং জাতীয় সড়ক দিয়ে ঢুকছেন। তাঁদের জন্য এই জেলার গলসী এবং জামালপুরে পৃথকভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং দুটি জায়গাতেই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে কোয়ারেণ্টাইন সেণ্টার হিসাবে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 

তিনি জানিয়েছেন, এদিনই বিহারে ১৫০জনকে এবং ঝাড়খণ্ডে ৩৩৩ জনকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বাসে করে তাঁদের ওই রাজ্যের নির্দিষ্ট কয়েকটি পয়েণ্টে পৌঁছে দেওয়া হবে। সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন তাঁদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করবেন। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের সঙ্গেও তাঁরা আলোচনা করে নিয়েছেন। অপরদিকে, কন্টেনমেণ্ট জোনের আওতায় থাকা বর্ধমানের খোসবাগানের ডাক্তারের চেম্বারগুলিকে শর্ত সাপেক্ষে নির্দিষ্ট সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত খোলার অনুমতি দিল জেলা প্রশাসন। 

জেলাশাসক জানিয়েছেন, এব্যাপারে ভিড় এড়িয়ে কিভাবে চেম্বার খোলা হবে সে বিষয়ে আইএমএ-কে ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে, জেলা প্রশাসনের দেওয়া হিসাবের সঙ্গে রাজ্যের হিসাব নিয়ে ফের গড়মিল দেখা দেওয়ায় এদিনও জেলাশাসক জানিয়েছেন, এব্যাপারে রাজ্য সরকারকে তাঁরা লিখিতভাবে জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের দেওয়া বুলেটিনে উল্লেখ করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৮জন করোনা পজিটিভে আক্রান্ত। তাদের মধ্যে ৬জন এ্যাক্টিভ। 

কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা মাত্র ৫। এগুলির মধ্যে রয়েছে খণ্ডঘোষের একই পরিবারের ২জন, বর্ধমান শহরের সুভাষপল্লীর ১জন, মেমারীর ১জন এবং কেতুগ্রামের ১জন। অন্যদিকে, এর বাইরে যে তিনজন রয়েছেন তাঁদের বাড়ি এই জেলায় হলেও তাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতাতেই। তাদের মধ্যে খণ্ডঘোষে বাড়ি কলকাতা পুলিশ কর্মরত এক গাড়ি চালক, মেমারীর পাহাড়হাটি এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা এবং কালনার বাসিন্দা মৃত সিআইএসএফ জওয়ান রয়েছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});