ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমানের ঐতিহ্যবাহী সীতাভোগ,মিহিদানা,ল্যাংচা প্রভৃতি মিষ্টি কে জেলার গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের বাজারেও জনপ্রিয় করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন খোদ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।২০১৭ সালে আসা্নসোলের একটি সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় তাই তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প এই মিষ্টি হাবের উদ্বোধন করেন বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে বামচাঁদাইপুর মৌজায়।উদ্দেশ্য ছিল বর্ধমান জেলার বিভিন্ন নামী দামী মিষ্টির পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলার খ্যাতনামা মিষ্টিগুলিও এখান থেকে বিপণন।কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই মিষ্টি হাবের প্রায় দুটি তলার ৩০টি স্টল হলেও এবং প্রায় ৫ কোটি টাকা খরচ হলেও মুখ্যমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরই মুখ থুবড়ে পড়ে গোটা প্রকল্পটি। বন্ধ হয়ে যায় সমস্ত দোকান।বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালিয়েও সচল করা যায়নি এই প্রকল্পকে। ব্যতিক্রম একটিমাত্র দোকান। যা আজও নিয়মিতই প্রতিদিনই খোলে। কিন্তু সেখানেও নেই কোনো খদ্দের। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পের ভবিষ্যত নিয়েই উঠতে শুরু করে প্রশ্ন।
রাত পেরোলেই সোমবার বর্ধমান শহরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মিষ্টি হাব নিয়ে বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক।সরাসরি তিনি জানিয়েছেন, এই মিষ্টিহাবের জন্য তিনি আলাদা জমি দেখিয়েছিলেন। শক্তিগড় ঢোকার মুখে চারমাথার মোড়ে বর্তমানে যেখানে পথসাথী মোটেল রয়েছে তার পাশেই এই মিষ্টি হাব তৈরীর জন্য তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রস্তাব মানা হয়নি। শুধু তাই নয়, তিনি এলাকার বিধায়ক হলেও তাঁকে এবং সেই সময় বর্ধমান ২ ব্লকের বিডিওকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই মিষ্টি হাবের জায়গা বাছাই করা হয়। নিশীথ মালিক দাবী করেছেন, গোটা টাকাটাই কার্যত বিফলে গেছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীর সঙ্গে কথা বলেছেন। মিষ্টি হাবের জন্য কতটাকা খরচ হয়েছে সে ব্যাপারে তদন্তের দাবী জানিয়েছেন।
যদিও ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল মাঝে বহুবার বিভিন্নরকমভাবে এই মিষ্টিহাবকে চালুর উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রত্যেকবারই কার্যত বিফলে যায় সব প্রচেষ্টা। মিষ্টি হাবের ব্যবসায়ীদের দাবী ছিল, শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানগুলি মূলতই চলে সেখানে সমস্ত রুটের বাসস্টপ থাকায়। তাই তাঁরাও প্রশাসনের কাছে দফায় দফায় মিষ্টি হাবের সামনে বাসস্টপ করার দাবী জানাতেই থাকেন। কিন্তু লাভ হয়নি। গত ২ বছর ধরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে কোনো ফলপ্রসু সিদ্ধান্তই নেওয়া যায়নি। এদিকে, মিষ্টিহাব বন্ধ থাকায় এবার তা নিয়েই রীতিমত সরব হলেন বিধায়ক নিশীথ মালিক।
উল্লেখ্য, রাত পোহালেই বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার আগে দলেরই দায়িত্বশীল একজন বিধায়কের এই বিস্ফোরক মন্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এব্যাপারে জেলাশাসক জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে বিধায়ক তাঁকে এব্যাপারে বলেছেন। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে,দলেরই বিধায়কের এহেন মন্তব্য সম্পর্কে খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, এই প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। সেই প্রকল্পকে সাকার করতে তাঁরা চেষ্টা করছেন। বাসস্টপের মত কিছু সমস্যার জন্য প্রকল্পটি চালু করা না গেলেও তাঁরা এটিকে পুরোদমেই চালু করবেনই।এব্যাপারে তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
নিশীথ মালিকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্বপনবাবু জানিয়েছেন,উনি কি বলেছেন এবং কেন বলেছেন তা তিনি জানেন না। তাঁরা প্রকল্পটি নিয়ে ভাবছেন এবং তা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই খড্গপুরের আইআইটির বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। জেলাশাসক গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই খড্গপুরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মিষ্টি হাবেই বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ, মিহিদানা, ল্যাংচার মত মিষ্টিগুলিকে প্যাকেজিং করা কিভাবে যায় সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তাঁরা চাইছেন মিষ্টি হাব থেকেই প্যাকেজিং কারবার চালাতে। আর তা করা গেলেই মিষ্টি হাব চালুর জন্য তাঁদের আর ভাবতে হবে না। স্বপনবাবু জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের আবেদনমত জেলা পরিবহণ আধিকারিককে মিষ্টি হাবে বাসস্টপ দেবার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাত পেরোলেই সোমবার বর্ধমান শহরে প্রশাসনিক বৈঠক করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।আর তার আগেই মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের মিষ্টি হাব নিয়ে বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক।সরাসরি তিনি জানিয়েছেন, এই মিষ্টিহাবের জন্য তিনি আলাদা জমি দেখিয়েছিলেন। শক্তিগড় ঢোকার মুখে চারমাথার মোড়ে বর্তমানে যেখানে পথসাথী মোটেল রয়েছে তার পাশেই এই মিষ্টি হাব তৈরীর জন্য তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর প্রস্তাব মানা হয়নি। শুধু তাই নয়, তিনি এলাকার বিধায়ক হলেও তাঁকে এবং সেই সময় বর্ধমান ২ ব্লকের বিডিওকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখেই মিষ্টি হাবের জায়গা বাছাই করা হয়। নিশীথ মালিক দাবী করেছেন, গোটা টাকাটাই কার্যত বিফলে গেছে। গোটা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তিনি পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিজয় ভারতীর সঙ্গে কথা বলেছেন। মিষ্টি হাবের জন্য কতটাকা খরচ হয়েছে সে ব্যাপারে তদন্তের দাবী জানিয়েছেন।
যদিও ২০১৭ সাল থেকে ২০১৯ সাল মাঝে বহুবার বিভিন্নরকমভাবে এই মিষ্টিহাবকে চালুর উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন। কিন্তু প্রত্যেকবারই কার্যত বিফলে যায় সব প্রচেষ্টা। মিষ্টি হাবের ব্যবসায়ীদের দাবী ছিল, শক্তিগড়ের ল্যাংচার দোকানগুলি মূলতই চলে সেখানে সমস্ত রুটের বাসস্টপ থাকায়। তাই তাঁরাও প্রশাসনের কাছে দফায় দফায় মিষ্টি হাবের সামনে বাসস্টপ করার দাবী জানাতেই থাকেন। কিন্তু লাভ হয়নি। গত ২ বছর ধরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে কোনো ফলপ্রসু সিদ্ধান্তই নেওয়া যায়নি। এদিকে, মিষ্টিহাব বন্ধ থাকায় এবার তা নিয়েই রীতিমত সরব হলেন বিধায়ক নিশীথ মালিক।
উল্লেখ্য, রাত পোহালেই বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার আগে দলেরই দায়িত্বশীল একজন বিধায়কের এই বিস্ফোরক মন্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এব্যাপারে জেলাশাসক জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে বিধায়ক তাঁকে এব্যাপারে বলেছেন। তিনি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। অপরদিকে,দলেরই বিধায়কের এহেন মন্তব্য সম্পর্কে খোদ তৃণমূল কংগ্রেসের পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প দপ্তরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ জানিয়েছেন, এই প্রকল্প মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। সেই প্রকল্পকে সাকার করতে তাঁরা চেষ্টা করছেন। বাসস্টপের মত কিছু সমস্যার জন্য প্রকল্পটি চালু করা না গেলেও তাঁরা এটিকে পুরোদমেই চালু করবেনই।এব্যাপারে তাঁরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
নিশীথ মালিকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্বপনবাবু জানিয়েছেন,উনি কি বলেছেন এবং কেন বলেছেন তা তিনি জানেন না। তাঁরা প্রকল্পটি নিয়ে ভাবছেন এবং তা বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই খড্গপুরের আইআইটির বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। জেলাশাসক গোটা বিষয়টি তদারকি করছেন। জেলাশাসক জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই খড্গপুরের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। মিষ্টি হাবেই বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ, মিহিদানা, ল্যাংচার মত মিষ্টিগুলিকে প্যাকেজিং করা কিভাবে যায় সে ব্যাপারে খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তাঁরা চাইছেন মিষ্টি হাব থেকেই প্যাকেজিং কারবার চালাতে। আর তা করা গেলেই মিষ্টি হাব চালুর জন্য তাঁদের আর ভাবতে হবে না। স্বপনবাবু জানিয়েছেন, ব্যবসায়ীদের আবেদনমত জেলা পরিবহণ আধিকারিককে মিষ্টি হাবে বাসস্টপ দেবার বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
