ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,কেতুগ্রামঃ মোদির শপথের দিনেও রক্তাত্ত হলো বাংলা ,খবর পৌঁছে গেলো দিল্লিতেও , উৎকণ্ঠ প্রকাশ করলেন মোদী । বিজয় মিছিলের প্রস্তুতির সময়ই ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নিহতের নাম সুশীল মণ্ডল, বয়স ৫২ বছর। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে।
উল্লেখ্য, রাজ্যে নির্বাচনী প্রচারে এসে বারবার বাংলার হিংসা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এমনকি বাংলার বাইরে ওড়িশার নির্বাচনী প্রচারে গিয়েও বলেছিলেন , প্রতিবেশী বাংলায় কিভাবে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে তাঁদের কর্মীরা। বেহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দ্বিতীয়বারের জন্য শপথ গ্রহন করার কয়েক ঘন্টা আগেই আবারও তাঁর কাছে খবর পৌঁছলো যে এদিন সকালেই বাংলাতে খুন হয়েছে আরেকজন বিজেপি কর্মী। ঘটনা পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার পান্ডু গ্রামে।
এদিন বিকেলে কেতুগ্রাম জুড়ে বিজেপির বিজয় মিছিল বের হওয়ার কথা ছিল। সেই কারণে গ্রামের ভেতর পতাকা লাগাচ্ছিল সুশীল মন্ডল নাম এক বিজেপি কর্মী। আওয়াজ উঠেছিল জয় শ্রী রাম। অভিযোগ তখনই সুশীল মন্ডল নামের( ৫২) বছর বয়সী এক বিজেপি কর্মীর ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় কয়েকজন দুষ্কৃতী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে কেতুগ্রাম স্বাস্থকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। জেলার বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, এই হামলার পিছনে তৃণমূল দুস্কৃতদের হাত রয়েছে। লোকসভা নির্বাচন বিজেপির জয় মেনে নিতে না পেরে একের পর এক হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। তবে এই ঘটনাকে ব্যাক্তিগত শত্রুতার জের বলেই দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের তরফ থেকে।
নিহতের স্ত্রীর জানিয়েছেন, বিজেপি করার জন্য খুন করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে। পড়শি রাজু ও বাপি নামে দুই যুবক তাঁর স্বামী সুশীল মণ্ডলকে খুন করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। অভিযুক্ত রাজু ও বাপি তৃণমূল করে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন ধরে বিজেপি করে। তাঁদের বাড়িতে মাঝেমধ্যেই বিজেপির মিটিং বসতো। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ প্রতিবেশী রাজুর বাড়িতে যান সুশীল মণ্ডল। সেখানেই দু চার কথার মাঝেই রাজুর সঙ্গে বচসা বাঁধে সুশীল মণ্ডলের। অভিযোগ, বচসা চলাকালীন-ই সুশীল মণ্ডলের উপর চড়াও হয় রাজু। তাঁর বুকে ছুরি বসিয়ে দেয়। কেতুগ্রাম থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।