Headlines
Loading...
অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের জন্য ১৬ বছরেও বর্ধমানে তৈরী হল না হাসপাতাল

অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের জন্য ১৬ বছরেও বর্ধমানে তৈরী হল না হাসপাতাল



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ  চলতি সময়ে পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গোটা দেশ জুড়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে। একদিকে চলছে নিহত সৈনিকদের জন্য স্মরণানুষ্ঠান, অন্যদিকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চলছে বদলার আওয়াজ। কিন্তু যে সৈনিকরা দেশের সুরক্ষা এবং দেশবাসীর সুরক্ষার জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করছেন সেই অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদেরই এখন নিজেদের চিকিত্সার জন্য বর্ধমান থেকে প্রতিদিন যেতে হচ্ছে ৫০ কিমি দূরে পানাগড়ে। গত ২০০২ সালে বর্ধমান শহরে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের জন্য কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা দপ্তর একটি এক্স সার্ভিসমেন কনট্রিবিউটরি হেল্থ স্কিম চালুর অনুমোদন দিলেও বাস্তবে তা আজও হয়নি। 

জানা গেছে, তৎকালীন কর্ণেল মুখার্জ্জী বর্ধমানে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের একটি সভায় এসে পানাগড় থেকে সরিয়ে এই ইসিএইচএসকে বর্ধমান শহরে করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তারপর বহু চিঠি চালাচালি হলেও আজও গড়ে ওঠেনি অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা চিকিৎসার জন্য এই পলিক্লিনিক। ফলে রীতিমত সমস্যার মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যরা।

 ইণ্ডিয়ান এক্স সার্ভিসেস লিগ-এর বর্ধমান ইউনিটের সম্পাদক তাপস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, জেলা সৈনিক বোর্ডের অধীনে অবিভক্ত বর্ধমান জেলায় রয়েছেন ১০ হাজার ৮৮৩ জন সদস্য। এছাড়াও রয়েছেন ১৩৬৩ জন বিধবা সদস্য। এছাড়াও ওই লিগের অধীনে রয়েছেন দুই বর্ধমান ছাড়াও বীরভূম জেলার অবসরপ্রাপ্তরাও। লিগের অধীনে রয়েছেন বীরভূম জেলার ৪৮৮৪জন সদস্য এবং ৬৪৩জন বিধবা সদস্য। তাপসবাবু জানিয়েছেন, ২০০২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এব্যাপারে সরকারী ঘোষণার পর কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষাদপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় জায়গার জন্য রাজ্য সরকার তথা জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। এরপর ২০০৮ সালে বর্ধমানে অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের একটি অনুষ্ঠানে এসে তৎকালীন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী নিরুপম সেন প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান এই ইসিএইচএসের জন্য প্রয়োজনীয় জমি রাজ্য সরকার দেবে। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এখনও মেলেনি সেই জমি। 

তাপসবাবু জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে জেলা ভূমি দপ্তর থেকে বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগর এলাকায় একটি জমির বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা দপ্তর তথা পানাগড় হেড কোয়ার্টারে চিঠি দিয়ে জানানো হয় – প্রয়োজনীয় ৭০০ স্কয়ার ফুটের একটি জায়গা জেলা ভূমি দপ্তর চিহ্নিত করেছে। জমি হস্তান্তরের জন্য ৪৫ লক্ষ টাকা চাওয়া হয়। কিন্তু তারপরেও কিছু এগোয়নি। গতবছর ২০১৮ সালেও ফের জেলা ভূমি দপ্তর থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। তাপসবাবু জানিয়েছেন, যেহেতু এটা অবসরপ্রাপ্ত সৈনিকদের বিষয় তাই তাঁরা চান বিনামূল্যে রাজ্য সরকার তথা জেলা প্রশাসন ওই জমি দিক। এব্যাপারে খুব শীঘ্রই তাঁরা ফের জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে স্মারকলিপি দেবেন। যদিও এব্যাপারে নবাগত বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি) শশী কুমার চৌধুরী জানিয়েছেন, এব্যাপারে তাঁর কাছে কেউ আবেদন জানান নি। তবে তাঁর আগে দপ্তর থেকে এই বিষয়ে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা তা তাঁর জানা নেই।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});