

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ গ্রামের এক গৃহবধুর উদ্দেশ্যে কটুক্তি করার অভিযোগে ৪ যুবককে থানায় ডেকে এনে ব্যাপক মারধোর সহ নগ্ন করে ছবি তুলে তা সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে দেবার ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার পুলিশের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অপমানিত ৪জন যুবকের মধ্যে দুই কলেজ ছাত্র বৃহস্পতিবার সকালে আত্মহত্যারও চেষ্টা করল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিন এই ঘটনা সম্পর্কে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে ওই যুবকদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে বিষয়টি কানে আসায় তিনি নিজে এই ঘটনার তদন্তে খণ্ডঘোষ থানায় গিয়েছিলেন। একটি আভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু হয়েছে।
এদিকে, গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরেই খণ্ডঘোষের উখরিদ গ্রামের ৪জন যুবক গ্রামেরই এক গৃহবধুকে লক্ষ্য করে নানাধরণের অশালীন মন্তব্য ও কটুক্তি করছিলেন। এই ৪জনের মধ্যে দুজন উখরিদ কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। অন্য দুই জনের মধ্যে একজন মিষ্টির দোকানের কর্মী এবং অপরজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রীর কাজ করেন। বুধবার ওই গৃহবধুর শ্বশুর স্থানীয় তৃণমূল নেতা সহ খণ্ডঘোষ থানায় বিষয়টি জানান। এরপর ওই গ্রামেই একটি বৈঠক ডেকে ওই তৃণমূল নেতার মধ্যস্থতায় বিষয়টি মিটমাট করাও হয়। কিন্তু থানায় অভিযোগ জানানোয় এদিন ওই ৪ যুবককে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। অভিযোগ, এরপর ওই ৪ যুবককে থানায় বেধড়ক মারধোর সহ তাদের গায়ে বিচুটি পাতা ঘষে দেওয়া হয়। এমনকি তাদের উল্লঙ্গ করে তাদের ছবি তুলে তা সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করারও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর রাত্রি ১০টা নাগাদ তাদের থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, এই ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে ওই ৪ যুবকের মধ্যে দুই যুবক তথা উখরিদ কলেজের তৃতীয় বর্ষের দুই ছাত্রকে দেখে ওই গৃহবধুর পরিবারের লোকজন পাল্টা কটুক্তি করে বলে অভিযোগ। এরপরই এক ছাত্র বাড়িতে রাখা বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে আর এক ছাত্র বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে তা দেখে ফেলেন তার বাবা। সঙ্গে সঙ্গে তাকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।