Headlines
Loading...
সদ্যজাতদের যত্রতত্র ফেলে দেওয়া আটকাতে বর্ধমানে প্রথম চালু হতে চলেছে শিশু অভ্যর্থনা কেন্দ্র

সদ্যজাতদের যত্রতত্র ফেলে দেওয়া আটকাতে বর্ধমানে প্রথম চালু হতে চলেছে শিশু অভ্যর্থনা কেন্দ্র


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ পুকুর-ঘাট, নালা নর্দমা থেকে ঝোপ জঙ্গল – প্রায়শই সদ্যজাত উদ্ধারের খবর মেলে। আর সদ্যজাতদের এভাবে ফেলে দেওয়া আটকাতে রাজ্যের মধ্যে প্রথম পূর্ব বর্ধমান জেলায় চালু হতে চলেছে ক্রেডল বেবি ইউনিট বা বাচ্চা শিশুর অভ্যর্থনা কেন্দ্র। সরকারী জেলা হাসপাতাল সহ বেসরকারী নার্সিংহোম এবং ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে নিয়ে একযোগে এই প্রকল্পে নামতে চলেছে এই দপ্তর। বেশ কিছুদিন ধরেই এই বিষয়ে পরিকল্পনা করা হলেও সম্প্রতি কাটোয়ায় মাত্র ছদিনের প্রতিবন্ধী শিশুকন্যাকে তার মা গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে জেলা প্রশাসন।

পূর্ব বর্ধমান জেলা শিশু সুরক্ষা প্রকল্পের আধিকারিক সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনেক দিন ধরেই স্পেশিলাইজেশন এডপশন এজেন্সী বা সা এই ধরণের বাচ্চা শিশুর অভ্যর্থনা কেন্দ্র বাইউনিট চালু করেছে। এবার সেই একই ধরণের পদ্ধতি অনুসরণ করে পূর্ব বর্ধমান জেলা সমাজকল্যাণ দপ্তর তথা শিশু সুরক্ষা প্রকল্প দপ্তর চালু করতে চাইছেন সমস্ত হাসপাতালগুলিতেও এই ধরণের ইউনিট। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই জেলার সমস্ত নার্সিংহোমের তালিকা তাঁরা সংগ্রহ করছেন। এরপর আগামী ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে তাঁরা নার্সিংহোমের প্রতিনিধিদের নিয়ে আলোচনা করবেন। 

উল্লেখ্য, বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গড়ে বছরে ১০থেকে ১২টি করে সদ্যজাত শিশুকে হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যান মায়েরা। ফলে সমস্যায় পড়েন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরেও বেশ কয়েকটি শিশু প্রতিপালিত হচ্ছে বর্ধমান হাসপাতালে। এরই পাশাপাশি গোটা জেলা জুড়েই প্রায়শই ঝোপ – জঙ্গল নালা নর্দমার ধার থেকে সদ্যজাতদের কখনও জীবন্ত কখনও মৃত অবস্থায় উদ্ধারের খবর মেলে। এই ধরণের ঘটনায় সমাজ জীবনে একটা বিরুপ ছাপ ফেলে। আর এগুলিকে আটকাতেই এই নতুন অভিযান শুরু হচ্ছে। এই অভিযানের অঙ্গ হিসাবে যে সমস্ত মায়েরা তাঁদের সন্তানদের নিতে চান না, তাঁরা সরকারী নিয়ম মেনে হাসপাতালে সন্তানদের দিতে পারবেন। এব্যাপারে সচেতনতা গড়ে তোলা হবে। সরকারী হাসপাতালগুলিতে বড়মাপের হোর্ডিং দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। 

সুদেষ্ণা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনেক সময়ই মায়েরা লোকলজ্জা এবং সম্মানের ভয়ে শিশুদের বিপদের মুখে ফেলে চলে যান। তাই সরকারী হাসপাতাল, ব্লক স্বাস্থ্য ও উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং নার্সিংহোমগুলিতে একটি করে বিশেষ শিশু বেড সহ একটি করে এই ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই ইউনিটে কেউ শিশুদের রেখে যাবার নির্দিষ্ট কয়েক মিনিট পর তা জানতে পারবেন কর্তৃপক্ষরা। দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করার ব্যবস্থা থাকছে।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});