Headlines
Loading...
বর্ধমান হাসপাতালে ফের ভুল চিকিৎসায় এক বালকের মৃত্যুর অভিযোগ

বর্ধমান হাসপাতালে ফের ভুল চিকিৎসায় এক বালকের মৃত্যুর অভিযোগ


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক, পূর্ব বর্ধমানঃ মায়ের সামনে সুস্থ ছেলেকে এক প্রশিক্ষণরত জুনিয়র নার্স ইঞ্জেকশন দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ছটফট করতে করতে মারা গেল ১৪ বছরের এক বালক।ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ভুল চিকিৎসার জেরেই বালকটি মারা গেছে বলে মৃতের পরিবার থেকে ইতিমধ্যেই হাসপাতাল সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পরিবার সূত্রে জানা গেছে,মৃতের নাম সেখ রাজিবুল (১৪)। বাড়ি বীরভূমের কাঁকড়তলার বাবুইজোর গ্রামে। সে বাবুইজোর হাইস্কুলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। এব্যাপারে হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা জানিয়েছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে ঘটনার তদন্ত করে তাঁরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।

মৃতের মা তানজিলা বিবি জানিয়েছেন, বেশ কিছুদিন ধরেই পেটের ব্যাথায় কষ্ট পাচ্ছিল রাজিবুল। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতাল এবং পরে গত মঙ্গলবার তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান, রাজিবুলের এ্যাপেনডিক্সে সমস্যা দেখা দিয়েছে। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে পরের দিনই তার অস্ত্রোপচার করা হয়। যথারীতি তার অস্ত্রোপচার সফলও হয় বলে তিনি জানিয়েছেন। মৃতের মা জানিয়েছেন, ছেলে ক্রমশই সুস্থ হয়ে উঠছিল। শুক্রবার সকাল চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা করে দেখার পর হাঁটাচলা করার নির্দেশও দেন। শনিবারই তাকে ছুটি দেবার কথাও বলেন চিকিৎসক।

তানজিলা বিবি জানিয়েছেন, শুক্রবার সকালে সাড়ে আটটা নাগাদ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সিবিএস এক্সটেনশন থেকে মাইকে রাজিবুলের আত্মীয়দের ডেকে পাঠানো হয়। তিনি গেলেন তাঁকে কর্তব্যরত নার্সরা জানান, রাজিবুলকে একটি ইঞ্জেকশন দিতে হবে। তানজিলা বিবিকে রাজিবুলের বেডের কাছে যাবার নির্দেশ দেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই একজন প্রশিক্ষণরত জুনিয়র নার্স এসে রাজিবুলের হাতে একটি ইঞ্জেকশন দেন। আর পরক্ষণেই রাজিবুল জ্বলে গেল জ্বলে গেল বলে চিৎকার করতে করতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। কার্যত ইঞ্জেকশন দেবার ৫ মিনিটের মধ্যেই মারা যায় রাজিবুল।

তানজিলা বিবি জানিয়েছেন, এই ঘটনার পরই ওই নার্স ওয়ার্ড ছেড়ে বেড়িয়ে চলে যান। তাঁকে আর দেখা যায়নি। এদিকে, এই ঘটনার পর মৃতের মামা সেখ নিজাম বর্ধমান মেডিকেল কলেজের সুপারের কাছে রাজিবুলের ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন।

এব্যাপারে হাসপাতালের ডেপুটি সুপার ডা. অমিতাভ সাহা জানিয়েছেন, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড থেকে তাঁরা একটি খবর পেয়েছেন। তারই ভিত্তিতে তাঁরা খোঁজখবর নিচ্ছেন। তবে যেহেতু রোগীপক্ষ মৃতের ময়নাতদন্ত করতে চাননি তাই ঠিক কি কারণে মৃত্যু হয়েছে তা বলা সম্ভব নয়। ডেপুটি সুপার জানিয়েছেন, রাজিবুলকে আগে থেকেই যে ইঞ্জেকশন দেওয়া হচ্ছিল, এদিনও সেই ইঞ্জেকশনই দেওয়া হয়েছিল। নতুন করে কোনো ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});