Headlines
Loading...
যোগাকে সঙ্গী করে স্বপ্নের উড়ান রানিগঞ্জের অমৃতার

যোগাকে সঙ্গী করে স্বপ্নের উড়ান রানিগঞ্জের অমৃতার



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,আসানসোল: ছোট বেলায় নাকি চলতে অসুবিধা হতো মেয়েটার ৷ একটু দৌড়াদৌড়ি করলেই হাঁপিয়ে উঠতো সে ৷ এই নিয়ে বন্ধুদের কাছে প্রায়ই শুনতে হয়েছে অনেক কথা ৷ আর সেই মেয়েই আজ যোগাকে সঙ্গী করে বিদেশের মাটিতে প্রতিষ্ঠিত ৷ ভিয়েতনামের হো চি মিন সিটির ইউনির্ভাশাল যোগা প্রতিষ্ঠানে একজন প্রতিষ্ঠিত প্রশিক্ষক ৷ 



হ্যা , পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জের স্কুলপাড়ার অমৃতা হালদারের কথাই বলছি ৷ স্কুলে পড়ার সময় থেকেই যোগার প্রতি অসম্ভব ভালোবাসা ৷ নিজের কাকুর কাছে যোগায় হাতে খড়ি ৷ ন্যাশনাল স্কুল যোগায় প্রতিবছরই সাফল্য মিলেছে ৷ এরপর ২০১৫ সালে ব্যাঙ্ককে এশিয়ান যোগায় দ্বিতীয় স্থান পায় অমৃতা ৷ সে বছরই সাফল্যের ঝুলিতে আসে কলকাতায় হয়ে যাওয়া যোগা প্রতিযোগিতায় যোগা রত্নম শিরপা ৷ আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি এই মেয়েকে ৷ যোগা প্রশিক্ষক ডা: প্রসূন গুপ্ত ও তাঁর ছাত্র সৌমেন দাসের সহযোগিতায় ভিয়েতনামে যাওয়ার সুযোগ পায় অমৃতা ৷ সেখানে যোগা প্রশিক্ষকের দ্বায়িত্ব পান রানিগঞ্জের এই মেয়ে ৷ চলতে থাকে ভারতীয় যোগার প্রচার ৷
 
অত্যন্ত আক্ষেপের সঙ্গে অমৃতা জানালেন, এদেশে মানুষের যোগা নিয়ে যখন এতো অনিহা, সেখানে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মঙ্গোলিয়া, ভিয়েতনামের সাধারন মানুষের দিন শুরু হয় যোগার মধ্যে দিয়ে। ছুটিতে বেড়াতে এসেই পাড়ার কচি কাঁচাদের নিয়ে যোগ শিক্ষায় মেতে ওঠেন অমৃতা ৷ তবে তার একটাই কথা, একদিন বা দু দিন নয়, যোগাভ্যাস করতে হবে প্রতিদিন ৷ তাই নিয়মিত যোগাভ্যাস -এর জন্য এলাকার মানুষদের বিনামূল্যে যোগা শেখানোর ব্যবস্থাও করছে অমৃতা।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});