Headlines
Loading...
অপরাধ দমনে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহে জোর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের।

অপরাধ দমনে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংগ্রহে জোর দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশের।


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
 অপরাধ দমনে এবার ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের উপর জোর দিল দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ। জেলায় বড় কোনও অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে বলে অনুমান পুলিশের। পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে উঠে আসা রিপোর্ট থেকেই এই ব্যাপারে পদক্ষেপ নিল পুলিশ। তাই এবার ভাড়াটিয়াদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য “আপনার প্রতিবেশীকে চিনুন” ও “নিরাপদ গৃহ” প্রকল্প চালু করল জেলা প্রশাসন।

অপরাধ রোধ করার জন্য এবং মানুষের নিরপত্তার কারণে ২০১৬ সালের অগাস্টে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ “আপনার প্রতিবেশীকে চিনুন” ও “নিরাপদ গৃহ” প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পটিতে বলা হয় ভাড়াটিয়া ও পরিচারিকা থাকলে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে ও থানাগুলি থেকে দেওয়া ফর্ম পূরণ করে পুলিশের কাছে জমা দিতে হবে বাড়ির মালিকদের। এর জন্য তাঁদের ৫ হাজারের অধিক ফর্ম বিলি ও জমা নেওয়ার টার্গেট দেয় দক্ষিণ দিনাজপুর পুলিশ। সাধারণত নির্দিষ্ট থানায় অথবা জেলা পুলিশ সুপার অফিসের হেল্প ডেস্কে এই সম্পর্কিত তথ্য জমা নেওয়া হয়। সীমান্তবর্তী জেলায় অপরাধের সংখ্যা কমাতে জেলার আটটি ব্লকেই এই প্রকল্প চালু করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় প্রতিটি থানা থেকে এই ফর্ম দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু পরে পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেও এই ফর্ম পাওয়া যাবে বলে জানায় জেলা প্রশাসন। কয়েক মাসে “আপনার প্রতিবেশীকে চিনুন” প্রকল্পে ফর্ম বিলি হয়েছে ৩০৭৭ । এবং ফর্ম জমা পড়েছে ২৭৩৮ টি। এছাড়া “নিরাপদ গৃহ” প্রকল্পে ৮৫২ টি ফর্ম বিলি হলেও জমা পড়েছে ৪২৭ টি। ভাড়াটিয়া ও পরিচারিকাদের এই তথ্যর উপর ভিত্তি করে আগে অনেকগুলি অপরাধ দমন এবং ঘটে যাওয়া কয়েকটি অপরাধের কিনারা খুব সহজেই করতে পেরেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ। তাই এই প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে জোর দিয়েছে জেলা প্রশাসন। 

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই প্রকল্পের জন্য খুন, ট্রাক-লরি সহ বিভিন্ন গাড়ি ছিনতাই, ডাকাতি, রাহাজানি সহ সমস্ত অপরাধের কুখ্যাত অপরাধী ধনঞ্জয় ভৌমিক সহ মোট আটজন ধরা পড়েছে পুলিশের হাতে। তিনি আরও বলেন, বালুরঘাটের বিরিয়ানির দোকানের আড়ালে ডাকাতির ঘটনায় বিহার, মালদার অপরাধীরা এখানে ডেরা বেঁধে থাকার খবর ও গঙ্গারামপুরে লজে থেকে বাংলাদেশি, মালদা, বিহারের একাধিক অপরাধী গ্রেপ্তার সহ বেশ কিছু কুখ্যাত দুষ্কৃতীর ধরা পড়ে এই প্রকল্প থেকে উঠে আসা তথ্যর ভিত্তিতে। কেননা ছোটো খাটো অপরাধ ও দুর্ঘটনা ছাড়া এখানে তেমন বড় অপরাধ হয় না। জেলাতে তেমন বড় কোনও গ্যাং নেই। এখানে যে বড় ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলি সব বাইরের দুষ্কৃতীদের দ্বারা সংগঠিত হচ্ছে  বলে জানান পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});