Headlines
Loading...
বর্ধমানে পাইকারী বাজারের ব্যবসাদারদের স্থানান্তরিত করা নিয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ।

বর্ধমানে পাইকারী বাজারের ব্যবসাদারদের স্থানান্তরিত করা নিয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ।



ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:বর্ধমান শহরের রাণীগঞ্জ এবং তেঁতুলতলা বাজারের পাইকারী ব্যবসাদারদের বর্ধমান ১নং ব্লকের কিষাণ মাণ্ডিতে স্থানান্তরিত করার ওপর স্থগিতাদেশ জারি করলো কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে। বুধবার হাইকোর্টে এই সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানির পর বিচারপতি দেবাংশু বসাক আগামী ৬ ডিসেম্বর এই মামলার ফের শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে এই পাইকারী বাজার তুলে দেবার যে ঘোষণা ছিল কার্যত তা সাময়িক আটকে গেলো।স্বভাবতই হাইকোর্টের এই নির্দেশে কিছুটা হলেও খুশি পাইকারী ব্যবসাদাররা। পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্সের সম্পাদক চন্দ্রবিজয় যাদব জানান, এর আগেও তাঁরা জেলা প্রশাসনকে জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কোনোমতেই জেলা কৃষিখামারে থাকা কিষাণ মাণ্ডিতে যাবেন না। প্রশাসন নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আশ্বাস না দেওয়ায় ব্যাবসায়ীরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। চন্দ্রবিজয় যাদব জানান, বুধবার বাজার সংক্রান্ত বিষয়ে ফের একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে জেলাশাসকের সঙ্গে।জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব তাঁদের জানিয়েছেন, এই দুটি বাজার স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত বর্ধমান পুরসভার। কাজেই বর্ধমান পুরসভা যদি না চান তাহলে তা স্থানান্তরিত করা হবে না। এদিকে জেলাশাসকের সঙ্গে সাক্ষাতের পরই পূর্ব বর্ধমান চেম্বার অফ ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের মনোভাব জানিয়ে এবং ৪দফা দাবি সম্বলিত একটি স্বারকলিপি বর্ধমান পৌরসভার পৌরপতির কাছে জমা দেওয়া হয়। 


এদিকে, রাণীগঞ্জ বাজার ও তেঁতুলতলা বাজার পাইকারী ব্যবসাদারদের অভিযোগ সম্পর্কে এদিন জেলাশাসক জানান, শহরের ভিতরের সমস্ত পাইকারি মার্কেটকেই কিষাণ মান্ডিতে নিয়ে যাওয়া হবে। এই সমস্ত পাইকারী মার্কেটের কোনও অনুমোদন নেই। এগুলি সরকারি জায়গাতেই চলে। তিনি জানান, দফায় দফায় পুরসভা এবং পাইকারি ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই মার্কেটকে শহরের বাইরে নিয়ে যাওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের বলা হয়েছে, হয় কিষাণ মান্ডিতে যেতে হবে নাহয় শহরের বাইরে অন্যত্র নিজস্ব জায়গায় যেতে হবে। কিষাণ মান্ডিতে যাওয়ার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীই আবেদন জমা দিয়েছেন। জি টি রোড সম্প্রসারণ করতে গিয়ে অনেক ব্যবসায়ীকে উচ্ছেদ করতে হয়েছে তারাও আবেদন করেছেন। জেলাশাসক
জানান, এদিনই পাইকারী ব্যবসাদারদের কিছু প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্থানান্তরিত করা হবেই। এব্যাপারে আগামী ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদনপত্র জমা নেওয়া হবে। তার ২-৩ দিনের মধ্যে লাইসেন্সও দিয়ে দেওয়া হবে। আগে আবেদন করার ভিত্তিতে অগ্রাধিকার পাবেন। ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে শহরের মধ্যে পাইকারি ব্যবসা চলতে দেওয়া হবে না। ১৬ ডিসেম্বর থেকে কিষাণ মান্ডিতেই ব্যবসা করতে হবে।
জেলাশাসক এদিন জানান, এই সমস্ত পাইকারী বাজারগুলি কোনোটিই অনুমোদিত নয়। দু একজন ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছেন। কিন্তু ট্রেডলাইসেন্স-এ কোন জায়গা দেখানো হয়নি। সার্টিফিকেটে রাণীগঞ্জ বাজার উল্লেখ থাকলেও বাজারটি কোথায় তা বলা হয়নি। যদিও তিনি জানান, তেঁতুলতলা মাছ ব্যবসায়ীদের পাইকারী ব্যবসার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওখানে অনুমোদিত কোনো মার্কেট নেই। এদের লাইসেন্স-এর মেয়াদও আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। তাঁদের ক্ষেত্রে এবছর মেয়াদ শেষ হলে আর রিনিউ করা হবে না।
                                                                                                                   ছবি - সুরজ প্রসাদ 



(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});