ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমানঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমান জেলার সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে গেলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ড.আরিজ আফতাব। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এডিশনাল চীফ ইলেকটোরাল অফিসার ওঙ্কারসিং মীনাও। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে এই বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা শাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, অতিরিক্ত জেলাশাসক (নির্বাচন) অরিন্দম নিয়োগী সহ অন্যান্য অতিরিক্ত জেলা শাসক ও আধিকারিকগণ। প্রায় ২ ঘণ্টা বৈঠক শেষে আরিজ আফতাব জানিয়েছেন, যেহেতু সামনেই লোকসভা ভোট তাই ভোটের আগে ভোট সংক্রান্ত সমস্ত বিষয়ই এদিন খতিয়ে দেখা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ভোটের জন্য কি কি প্রস্তুতি নিয়েছেন তাও জানিয়েছেন।
যদিও জেলায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা কিংবা আধা সামরিক বাহিনী কি পরিমাণ থাকবে তা নিয়ে এদিন তিনি জানিয়েছেন, আধা সামরিক বাহিনী কি সংখ্যক থাকবে বা থাকবে কিনা সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। এখনও এব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য, এদিন জেলার দৃষ্টিহীন ভোটারদের জন্য ভোটার তালিকায় নাম তোলা, সংশোধন প্রভৃতির জন্য বিশেষ ব্রেইল পদ্ধতিতে মুদ্রিত ফর্মের উদ্বোধন করেন আরিজ আফতাব।
প্রশাসন সুত্রে জানানো হয়েছে, জেলায় মোট প্রতিবন্ধী ১২ হাজার ৫৬৯জন। তার মধ্যে দৃষ্টিহীন ভোটার রয়েছেন ১৮৯৮ জন, মূক ও বধির ভোটার রয়েছেন ২ হাজার ৫৯৯ জন। উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পূর্ব বর্ধমান জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩৮ লক্ষ ৮০ হাজার ৯০১ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছেন ১৯ লক্ষ ৮০ হাজার ৭৬৭জন,মহিলা ভোটার রয়েছেন ১৯ লক্ষ ৫৪ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮০জন। এছাড়াও সার্ভিস ভোটার রয়েছেন ৩ হাজার ১০১ জন। পূর্ব বর্ধমান জেলায় বর্ধমান – দুর্গাপুর লোকসভার মধ্যে রয়েছে বর্ধমান উত্তর ও বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা, মন্তেশ্বর,ভাতার এবং গলসী বিধানসভা। অন্যদিকে, বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে রয়েছে রায়না, জামালপুর, মেমারী, কালনা, পূর্বস্থলী উত্তর, পূর্বস্থলী দক্ষিণ এবং কাটোয়া বিধানসভা।
অপরদিকে, বাঁকুড়ার বিষ্ণপুর লোকসভার অধীনে রয়েছে বর্ধমানের খণ্ডঘোষ বিধানসভা এবং বোলপুর লোকসভার অধীনে রয়েছে আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম এবং মঙ্গলকোট বিধানসভা। এদিন বৈঠক শেষে জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও প্রকাশিত হয়নি। জেলায় কতগুলি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে সে ব্যাপারে এখনও কোনো পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরী হয়নি। জেলা পুলিশ ও প্রশাসন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির পক্ষ থেকে এব্যাপারে আবেদন বা অভিযোগ আসার পর পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরী হবে।
