Headlines
Loading...
কেতুগ্রামে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার মৃত্যু বর্ধমান হাসপাতালে

কেতুগ্রামে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতার মৃত্যু বর্ধমান হাসপাতালে


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: শেষ পর্যন্ত কেতুগ্রামের গুলিবিদ্ধ বাবলু সেখের মৃত্যু হল। এই ঘটনায় শনিবার থেকে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে কেতুগ্রামের বেড়ুগ্রাম অঞ্চল জুড়ে। গত বৃহস্পতিবার কেতুগ্রাম থানার বেড়ুগ্রাম অঞ্চলে মহিলাদের একটি ফুটবল প্রতিযোগিতার আসরে স্থানীয় দুই ভাই তথা বিএসএফ এবং সিআরপিএফের দুই জওয়ান ভাইয়ের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেতুগ্রাম যুব তৃণমূল সভাপতি কাজি জাহিরুল আলম ওরফে রাজ।

অভিযোগ, ২০১৭ সালের পুরনো একটি বিবাদকে কেন্দ্র করে আচমকাই রাজকে আক্রমণ করে একদল দুষ্কৃতি। সে পালিয়ে গেলেও রাজের খুড়শ্বশুর মোসারফ হোসেনের ওপর চড়াও হয় দুষ্কৃতিরা। সেই সময় দুষ্কৃতিরা গুলি চালালে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে গুলিবিদ্ধ হন স্থানীয় দুই গ্রামবাসী বাবলু সেখ এবং সুনীল মাঝি। প্রথমে তাঁদের বোলপুরের সিয়ান হাসপাতাল এবং পরে তাদের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে সুনীল মাঝির পায়ে গুলি লাগে। বাবলু সেখের পেটে গুলি লাগে। লাগাতার চেষ্টা করেও তাঁর গুলি বার করা যায়নি। শনিবার দুপুরে মারা যান বাবলু সেখ।

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, বেড়ুগ্রামের দুই ভাই যতবারই ছুটিতে বাড়িতে আসেন ততবারই তাঁরা কোন না কোন ঝামেলা করেন। এর আগেও তাঁদের বিরুদ্ধে ৪ বার গুলি চালানো এবং এলাকায় অশান্তি সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু তাঁদের এখনও পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এদিন বেড়ুগ্রাম অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মহম্মদ সাহিদুল্লাহ জানিয়েছেন, বাবলু সেখ তাঁদের দলের কর্মী ছিলেন।

এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এফআইআরে থাকা কাউকেই পুলিশ গ্রেপ্তার করেনি। তাঁরা চাইছেন, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক প্রশাসন। এজন্য তাঁরা আন্দোলনও গড়ে তুলতে চলেছেন। রবিবার বাবলু সেখের মরদেহ ময়নাতদন্তের পর আত্মীয়স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});