Headlines
Loading...
শিশু বিক্রির ঘটনায় বর্ধমানের নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য দপ্তরের তদন্ত টিম, মিলল চরম অসংগতি

শিশু বিক্রির ঘটনায় বর্ধমানের নার্সিংহোমে স্বাস্থ্য দপ্তরের তদন্ত টিম, মিলল চরম অসংগতি


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান: বর্ধমান শহরের ভাঙাকুঠি এলাকায় লাইফ লাইন নার্সিংহোম থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশু বিক্রির ঘটনায় সোমবার জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিক দপ্তরের এক সদস্যের প্রতিনিধি তদন্তে গেলেন নার্সিংহোমে। এদিন দুপুর নাগাদ বর্ধমান জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিক দপ্তরের এ্যাসিস্ট্যাণ্ট সিএমওএইচ বর্ধমান সদর ডা. আত্রেয়ী চক্রবর্তী বিতর্কিত ওই নার্সিংহোমে যান। নার্সিংহোমের একেবারে নীচের তলা থেকে তিনতলা পর্যন্ত গোটা নার্সিংহোমই তিনি ঘুরে দেখেন। বিভিন্ন ওয়ার্ড, ওটি, বিভিন্ন কেবিন ঘুরে দেখে ভয়ংকর রকম অসংগতিও দেখতে পান।

উল্লেখ্য, কাটোয়া থানার অন্তর্গত পানুহাটের দীঘিরপাড় দাসপাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ বিশ্বাসের সঙ্গে অনুশ্রী বিশ্বাসের বিয়ে হয় প্রায় ১১ বছর আগে। কিন্তু বিয়ের ১১বছর পরও কোনো সন্তান হয় নি তাদের। এনিয়ে বিশ্বাস দম্পতির মধ্যে কষ্ট ছিল। হঠাৎই এই দম্পত্তির কোলে একটি শিশু কন্যাকে দেখে সন্দেহ হয় পানুহাটের দীঘিরপাড় দাসপাড়ার বাসিন্দাদের। এরপরই তাঁরা তাঁদের সন্দেহের কথা কাটোয়া থানায় জানালে কাটোয়া থানা তদন্ত শুরু করে। তদন্ত করতে নেমে শিশু কন্যাটিকে উদ্ধার করে কাটোয়া থানার পুলিশ। শিশু উদ্ধারের পর ওই নিঃসন্তান দম্পতি স্বীকার করেছেন, তাঁরা শিশুটিকে বর্ধমানের দি লাইফ লাইন নার্সিং হোম থেকে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে কেনেন। আর এই গোটা ঘটনায় ওই দম্পতিকে সাহায্য করে বর্ধমান লাইফ লাইনরে ডাক্তার বাবু কাসেম আলী এবং টেকনিশিয়ান শৈবাল রায়।

ওই দম্পতি স্বীকার করেছেন গত ২৮ জুন বর্ধমানের লাইফ লাইন নার্সিং হোমের ডাক্তার ও টেকনিশিয়ান এর সহায়তায় ওই শিশুটিকে তাঁরা কিনেছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে টেকনিশিয়ান শৈবাল রায়কে বর্ধমান লাইফ লাইন নার্সিং হোম থেকে গ্রেফতার করে কাটোয়া থানার পুলিশ। পরে কাটোয়া থানার পুলিশ ধৃত দম্পতিকে নিয়ে ওই নার্সিংহো্মে তদন্তে এসে আরও দুই মহিলাকে আটক করে নিয়ে যান।

এদিন ডা. আত্রেয়ী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এদিন তিনি নার্সিংহোমে কোনো সিস্টারকে পাননি। একজন ডাক্তারকে পেলেও নিয়ম মেনে ডাক্তার থাকার বিষয়টিও তিনি পাননি। গোটা নার্সিংহোমই রীতিমত অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় চলছে। এমনকি এই নার্সিংহোমে ৫০টি বেডের অনুমতি তথা লাইসেন্স থাকলেও চলছে ৫৯টি বেড। এছাড়াও অগ্নিনির্বাপণের লাইসেন্স থাকলেও নার্সিংহোমে যে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলির মেয়াদ অতিক্রান্ত। ডা. আত্রেয়ী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, গোটা নার্সিংহোমের রেজিষ্টারে রীতিমত অসংগতি রয়েছে। সঠিকভাবে কোনো হিসাব পাওয়া যায়নি। গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি জেলা মুখ্য স্বাস্থ্যাধিকারিকের কাছে রিপোর্ট পেশ করবেন।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});