Headlines
Loading...
রাত পোহালেই বড়দিন,বাজারে কেকের টান।

রাত পোহালেই বড়দিন,বাজারে কেকের টান।


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,বর্ধমান:ফের এসে গেল আলোর রোশনাইতে মেতে ওঠার উৎসব।রাত পোহালেই বড়দিনের উৎসব। বর্ষশুরু ও বর্ষশেষের সন্ধিক্ষণে কর্মের ব্যস্ততা ও ক্লান্তিকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে বিশ্বব্যাপী মেরী আর চেরির উৎসবে মেতে উঠতে মরিয়া সকলেই। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন ! আসতে চলেছে মেরী ক্রিসমাস ।
তবে, আনন্দ আর ভালবাসার উৎসবে বাদ পড়বে বাংলা ! এমনটা তো কখনোই নয়। তাই শীতের মরশুমে সান্টা'র উৎসব ঘিরে উন্মাদনা গোটা রাজ্যে। জেলায় জেলায় রকমারি কেকের বাহারে ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে রাস্তার দু'ধারের দোকানগুলি। আগত ক্রিসমাস ও বর্ষবরণকে ঘিরে নানা পার্টি ও কনসার্টের আয়োজন তুঙ্গে কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের জেলাগুলিতেও । চার্চে চার্চে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতিও। কিন্তু এবছর বড়দিনের রকমারি প্রিয় কেকের সেভাবে দেখা মিলছে না খোলাবাজারে। জেলার বেকারী ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস উঠতে শুরু করেছে জিএসটি আর খুচরো সমস্যায়। 
উল্লেখ্য,কেককে কুকিসের অধীনে নিয়ে আসায় কেকের ওপর ১৮ শতাংশ জিএসটি লাগু হয়েছে। ফলে গতবছরও কেকের যে দাম ছিল তা এবার একলাফে অনেকটাই বাড়ছে। আগে যে কেকের দাম ছিল গড়ে ৫০ টাকা তার দাম এবার বেড়ে হয়েছে প্রায় ৭০ টাকা। ফলে অন্যান্য বছরে যেমন বড়দিনের প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকেই বাজারে হরেকরকম কেকের দেখা মিলত, এবারে তা নেই। এরই পাশাপাশি জিএসটির জন্য কেকের উৎপাদন, মেয়াদ উত্তীর্ণ, মোড়ক সবেতেই ফুড ভ্যালু মেনে তা নথীভুক্ত করার নির্দেশ থাকায় কেক উৎপাদন নিয়ে রীতিমত চিন্তিত বেকারী ব্যবসায়ীরা।
বর্ধমানের দুবরাজপুরের বেকারী ব্যবসায়ী সেখ ধলো, রায়ানের বেকারী কারখানার মালিক সেখ কালো উভয়েই জানিয়েছেন, এবারে কেক উৎপাদন করার ক্ষেত্রে তারা আর কোনো ঝুঁকি নিতে পারছেন না। তাঁরা জানিয়েছেন,মূলত বড়দিন আর নিউ ইয়ার কে মাথায় রেখে এই সময়টায় কেকের বাজার ভালো থাকে। কিন্তু যেহেতু তাঁদের ব্যবসা চলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই চায়ের দোকান বা খুচরো ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। এমনকি তারা এজন্য মালের বিনিময়ে যে অর্থ তাঁদের দেন তার সিংহভাগই খুচরো পয়সায়। আর তাতেই এবারে ভয়াবহ সমস্যা দেখা দিয়েছে। কার্যত তাদের কাছে খুচরোর পাহাড় জমে উঠেছে। ব্যাংক খুচরো না নেওয়ায় ব্যবসা চালানোই দায় হয়ে উঠেছে।  তার উপর কেকের ওপর জিএসটি লাগু হওয়ায় এবং একাধিক নিয়ম মানার নির্দেশ থাকায় কেক উৎপাদন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই দাম বেড়ে যাওয়ায় খরিদ্দাররা তা কিনবেন কিনা তা নিয়েও সংশয় সৃষ্টি হয়েছে। 
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});