Headlines
Loading...
ঝড়বৃষ্টি কিংবা ভুমিকম্পের পর এবার বজ্রপাতেরও পূর্বাভাস।

ঝড়বৃষ্টি কিংবা ভুমিকম্পের পর এবার বজ্রপাতেরও পূর্বাভাস।

ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,পূর্ব বর্ধমান: ঝড়বৃষ্টি কিংবা ভুমিকম্পের পর এবার বজ্রপাতেরও প্রায় ঘন্টা দেড়েক আগে পাওয়া যাবে পূর্বাভাস।গোটা রাজ্য জুড়ে  প্রতি বছর বজ্রপাতে মৃত্যু সংখ্যা নেহাত কম নয়।তারপরে আবার বাতাসে বেড়ে চলে দূষণের ফলে প্রতিবছরে বেড়েই চলেছে এই সংখ্যা।এই মৃত্যুর হার কমাতেই রাজ্য সরকারের বিপর্যয় ব্যবস্থাপণ দপ্তরের পক্ষ থেকে বিদেশী সংস্থার সহযোগীতায়  রাজ্যের আট জেলায় বসছে বজ্র সংকেত ডিভাইস। যা সেন্সর মারফত কাজ করার মধ্য দিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা আগে বজ্র সংকেত প্রথমে আমেরিকায় পাঠাবে সেখান থেকে সেই সংকেত সরাসরি চলে আসবে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক দপ্তর নবান্নে।সেখান থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাপ্রশাসন ও পঞ্চায়েতকে সতর্কিত করা হবে।ফলে প্রাণহানীর শঙ্কা অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে বিপর্যয় ব্যবস্থাপণ দপ্তর।
প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে,প্রাথমিক ভাবে এক একটি ডিভাইস বসাতে খরচ হবে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা করে।একটি ডিভাইস প্রায় চারশো কিমি রেডিয়াস্ জুড়ে কাজ করতে পারবে। তাই প্রতিটি জেলায় এই ডিভাইস না বসলেও অন্য জেলায় বসা ডিভাইসের সঙ্গে তারা সংযুক্ত থাকবে।ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়ায় বসেছে এই ধরনের ডিভাইস।পূর্ব বর্ধমান জেলা বিপর্যয় ব্যবস্থাপণ দপ্তরের আধিকারিক মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন,আগে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় শুধুমাত্র চাল,গম বিলি করাই ছিলো এই দপ্তরের কাজ কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে এই দপ্তরের কাজ অভূতপূর্ব ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।চাল,গম বিলির বাইরেও যে এই দপ্তরের একাধিক কাজ আছে তা আজ প্রমাণিত।বিপদের সময় মানুষের প্রাণ বাঁচানোর কাজও করে চলেছে এই দপ্তর।তারই নবতম সংযোজন এই ডিভাইস,যা পূর্বেই  মানুষকে বিপদ সম্পর্কে সচেতন করে দেবে।ফলে কমবে প্রাণহানী।
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});