Headlines
Loading...
প্রত্যাশামতোই সবংয়ে জয়ী তৃণমূল,তবু গলার কাঁটা  বিজেপির ভোটবৃদ্ধি।

প্রত্যাশামতোই সবংয়ে জয়ী তৃণমূল,তবু গলার কাঁটা বিজেপির ভোটবৃদ্ধি।


ফোকাস বেঙ্গল ডেস্ক,সবং:সংশয় ছিল না কারও মনে। প্রত্যাশামতোই সবংয়ে জয়ী হলেন মানস ভুঁইঞার স্ত্রী গীতারানি ভুঁইঞা। শুধু জিতলেনই না, মানস ভুঁইঞার জয়ের ব্যবধানকে টপকে গেলেন। ৪৯ হাজার ১৬৭-কে টপকে নিয়ে গেলেন ৬৪ হাজারের উপরে। স্বাভাবিকভাবেই সবংয়ের আকাশে উড়ছে সবুজ আবির। তারই মাঝে তৃণমূলের গলার কাঁটার মতো বিঁধছে বিজেপির ভোটবৃদ্ধি। বহু ভোটযুদ্ধের সৈনিক মানসেরও নজর এড়ায়নি বিষয়টা। তাই জয়ের আনন্দের মাঝেই বললেন, 'আমি অবাক হচ্ছি বিজেপি এতটা ভোট পেল কেন? সেই ভেবে।'
আশঙ্কাটা ছিলই। লড়াই ছিল তৃণমূলের অন্দরে। এই নির্বাচন জিতে তৃণমূলের একাংশ দেখিয়ে দিতে চেয়েছিল মুকুল রায়কে। মুকুলকে গুরুত্বহীন প্রমাণ করতে আদাজল খেয়ে নেমেছিলেন রাজ্য নেতারাও। কিন্তু, ইভিএম বলছে বিজেপির ভোট বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। গত বিধানসভা ভোটে সবংয়ে তারা মাত্র ৫ হাজার ৬১০টি ভোট পেয়েছিল। এবারের উপনির্বাচনে বিজেপির প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৪৭৬। অর্থাৎ ভোট বেড়েছে প্রায় ৭ গুণ। স্বাভাবিকভাবে বঙ্গ রাজনীতিতে ঘোরাফেরা করছে প্রশ্নটা। মুকুল ম্যাজিকেই কি তবে ভোটবৃদ্ধি?
এমনিতেই সবং চিরকালই আশীর্বাদ করেছে কংগ্রেসকে। স্বাধীনতার পর থেকে একবার বাদ দিয়ে হাত চিহ্নেরই জয়জয়কার ছিল। সেখানে BJP-র স্থান ছিল তলানিতে। ২০১১ সালে বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী সাউ পেয়েছিলেন ২ হাজার ৫০৭টি ভোট। সেখান থেকে বিজেপির এই ভোটবৃদ্ধিকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।

 উল্লেখ্য, এবারের ভোটেও উঠেছিল সন্ত্রাসের আভিযোগ। ভোটের আগের রাত থেকেই গোলমাল বাধে নানা এলাকায়। বিষ্ণুপুর, বলপাইয়ে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে, এই অভিযোগে কর্মীদের নিয়ে সবং থানায় যান বিজেপি প্রার্থী অন্তরা ভট্টাচার্য। ভোটের দিন বেলা বাড়তেই সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠতে শুরু করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সারতা এলাকার একটি বুথে বিজেপির এজেন্ট প্রণব ধরকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। শঙ্খডিহাতে বিজেপির বুথ সভাপতি ভীমপদ দাসকে মারধর করা হয়। আর এক বিজেপি কর্মী বিভীষণ দাসকে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। 
সবংয়ে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে কলকাতায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ তোলেন, পুলিশ তৃণমূলের হয়ে ভোট করিয়েছে।
প্রচারেও বিজেপিকে কম কটাক্ষ করেনি তৃণমূল। অন্তরাকে বিজেপির ‘ভাড়া’ করা প্রার্থী বলে প্রচারও চালানো হয়। তবে এই সব কিছুকে পিছনে ফেলে বিজেপির ভোট বেড়েছে অনেকটাই। যদিও তারা এবারেও রয়েছে তৃতীয় স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিপিআইএম। রাজনৈতক মহলের একাংশের অনুমান,আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির এই ফল চিন্তায় রাখবে শাসক দলকে।  
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});